সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে যেসব কারণে

অনেকেই আছেন যাই খান না কেন সবসময় ক্ষুধার্ত থাকেন। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। পুষ্টির অভাব, অপর্যাপ্ত ঘুম কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন হতে পারে। ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা শারীরিক নানা জটিলতারও ইঙ্গিত দেয়। হাইড্রেটেড থাকা এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা ক্ষুধা কমানোর কার্যকর উপায়।

ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার কারণ ও এ ব্যপারে কী করণীয় তা জানানো হয়েছে ইন্ডিয়া ডট কমের এক প্রতিবেদনে। যেমন-

প্রোটিনের অভাব: অতিরিক্ত ক্ষুধা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা। যখন শরীরে প্রোটিনের মাত্রা কম থাকে, তখন শরীর ঘন ঘন ক্ষুধার সংকেত দেয়। ক্ষুধা মেটাতে খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।

ঘুমের অভাব: শরীর ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। এর ফলে শরীরে ক্ষুধার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তখন চর্বি এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়।

খুব বেশি পরিশোধিত শর্করা খাওয়া:পরিশোধিত শর্করা সহজে হজম হয় এবং গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। যা রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ায়।

পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান: অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার তাগিদ থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। খাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পানি পান করলে পেট ভরা অনুভূত হয়। তখন বেশি খাওযার প্রবণতা কমে। ডিহাইড্রেশন আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার চাহিদা বাড়ে।

ডায়াবেটিস: আপনি যদি ঘন ঘন ক্ষুধা অনুভব করেন তবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ইনসুলিন তৈরি না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ক্ষুধা বেড়ে যেতে পারে।

মানসিক চাপ: আপনি যখন মানসিক চাপে থাকেন তখন আপনার শরীর কর্টিসল নিঃসরণ করে। এটি এমন একটি হরমোন যা আপনাকে ক্ষুধার্ত বোধ করায়। এটাকে বলা হয় স্ট্রেস ইটিং। তখন শরীরে পুষ্টির চেয়ে স্বস্তির জন্য ঘন ঘন খাবার গ্রহণের প্রবণতা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে। এজন্য কী কারণে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগছে তা জানাটা জরুরি। এজন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের সহায়তা নিন। তাহলে সুস্থ থাকতে পারবেন। 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালের কর্মসূচি বাতিল Dec 27, 2025
img
ঝড়ের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল Dec 27, 2025
img
নিউক্যাসলের আধিপত্যের ম্যাচে জয় মিলল ইউনাইটেডের Dec 27, 2025
img
বেড়েছে শীতের দাপট, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে Dec 27, 2025
img
হকি ম্যাচে অর্পিতা-আইরিনের হ্যাটট্রিক Dec 27, 2025
img
সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু Dec 27, 2025
img
২৭ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Dec 27, 2025
img
নাইজেরিয়ায় মার্কিন হামলাকে ‘বড়দিনের উপহার’ বললেন ট্রাম্প Dec 27, 2025
img
ডোগুর গোলে জয় পেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড Dec 27, 2025
img

শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা

নেতানিয়াহুর পদক্ষেপে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র Dec 27, 2025
img
টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া বাড়ার অভিযোগ Dec 27, 2025
img
কক্সবাজারে তিন আসনে প্রার্থী দিল জাতীয় পার্টি Dec 27, 2025
img
পারিবারিক গল্পে আবুল হায়াত-ডলি জহুরের চমক Dec 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে তিন অঙ্গরাজ্যে তীব্র তুষারঝড়, জরুরি অবস্থা জারি Dec 27, 2025
img
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবের ১৫ বছরের কারাদণ্ড Dec 27, 2025
img
আজ হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান, যাবেন পঙ্গু হাসপাতালেও Dec 27, 2025
img
জয়ের পর ৪ বিদেশি খেলানোর অপেক্ষায় চট্টগ্রামের অধিনায়ক Dec 27, 2025
img
আজ বলিউডের সুপারস্টার-ভাইজান খ্যাত সালমান খানের জন্মদিন Dec 27, 2025
img
দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণের দাম Dec 27, 2025
img
পাগলা মসজিদের ১৩ দানবাক্সে মিললো ৩৫ বস্তা টাকা Dec 27, 2025