ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এবার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগ ও ধানমন্ডি গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আনার হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাকে আটকের পর সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে ডিবি অফিসে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ওই নেতার আটক হওয়ার গুঞ্জন শুনছি। আমাদের জনপ্রিয় এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাকুক না কেন আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এই বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলা তদন্তে আরও অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সব কিছু মাথায় রেখে তদন্ত করছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়ার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতার নাম সামনে এসেছে। এরপরই অনেককে গ্রেপ্তারে নেমেছে পুলিশ।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কারণে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারত যান এমপি আনার। পরের দিন তিনি নিখোঁজ হন। নয় দিন পর তাকে খুন করে মরদেহ গুম করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। আনার খুনের ঘটনায় দেশে প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ আজ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করা হলো। এছাড়া ভারতে কসাই জিহাদ এবং নেপালে সিয়াম হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়। এমপি আনার খুনের পর কলকাতার পৃথক জায়গা থেকে শরীর বিভিন্ন হাড় এবং খণ্ডিত মাংসের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এমপি আনার খুনের ঘটনায় তার ছোট মেয়ে রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন।