শিক্ষার্থীরা যতদিন আন্দোলনে থাকছে, ততদিন তাদের সঙ্গে থাকব : অভিনেত্রী বাঁধন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা আজমেরী হক বাঁধন বলেছেন, আমাদের সন্তানদের সঙ্গে অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যতদিন আন্দোলনে থাকছে, ততদিন আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে বৃষ্টির মধ্যেই রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারকারা। সেখানেই এসব কথা বলেন চিত্রনায়িকা বাঁধন।

মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে দেশে হত্যা, সহিংসতা, গণপ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং সব হত্যার হিসাব, বিচার, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ ও আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।

এদিন প্রতিবাদ সমাবেশে বাঁধন বলেন, যে অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন করা হয়েছে বা এখনো করা হচ্ছে, যেভাবে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যেভাবে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে- একটি গণতান্ত্রিক দেশে এসব দৃশ্য দেখার পর কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি বসে থাকতে পারে, তাহলে বলার কিছু নেই। কেননা, আমার ১২ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আমি এ দেশের নাগরিক। আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। এ দেশেই থাকব আমি এবং এই দেশ আমার। দেশটি আমরাই সংস্কার করব।

এ অভিনেত্রী বলেন, আমার যদি বিবেক থাকে, তাহলে এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে আমার সুস্থ থাকার কোনো অবকাশ নেই। কেননা, এই ঘটনাগুলো যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, যেদিন থেকে গুলি চালানো শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি আমি। কেননা, ওই শিশুগুলোর মধ্যে আমারও সন্তান থাকতে পারতো। ওই মানুষগুলোর মধ্যে আপনি-আমিও থাকতে পারতাম।

এ সময় রাষ্ট্র ব্যবস্থার ব্যাপারে এ নায়িকা বলেন, কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। এসব অন্যায়-অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতাধীন করা হোক। আমরা সবাই এর প্রকাশ্য প্রয়োগ দেখতে চাই। আর শিক্ষার্থীরা যতদিন মাঠে আছেন, ততদিন তাদের সঙ্গে আছি আমরা।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি Oct 23, 2025
img
৩১ দফা সাধারণ মানুষের আশার প্রতীক : দাউদার মাহমুদ Oct 23, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে কাউন্সিলর সাজ্জাদ ১০ দিনের রিমান্ডে Oct 23, 2025
img
ট্রাম্পের চাপে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হন নেতানিয়াহু! Oct 23, 2025
img
পরিবর্তন হল বাগছাসের নাম Oct 23, 2025
img
১২ ফেব্রুয়ারি ফয়সালা হয়ে যাবে, কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে : জয়নুল আবদিন Oct 23, 2025
img
সহজ ম্যাচ কঠিন করে নেপালের বিপক্ষে জিতল বাংলাদেশ Oct 23, 2025
img
‘চাই না আমার কারণে শাহরুখের সংসার ভাঙুক’ Oct 23, 2025
img
মার্কিন শুল্ক কমাতে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ভারত Oct 23, 2025
img
আমি বিএনপির কোনো রোহিঙ্গা নই : অ্যাডভোকেট পাপিয়া Oct 23, 2025
img
সৌদির নেতাদের মরুতে উট চড়ানোর কথা বলে মাফ চাইলেন বাজায়েল স্মোরিচ Oct 23, 2025
img
সালমান শাহ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা Oct 23, 2025
img
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা Oct 23, 2025
img
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ পদে রদবদল Oct 23, 2025
img
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ Oct 23, 2025
img
জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায়, ভাগ্যও বদলাবে না : ফয়জুল করীম Oct 23, 2025
img
ম্যাচসেরা সৌম্য, প্রশংসায় বুলবুল Oct 23, 2025
img
ডিসেম্বরে ঢাকা আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি Oct 23, 2025
img
দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা, দাবি বিএনপির সাবেক নেতার Oct 23, 2025
img
‘ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ Oct 23, 2025