জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলন, সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে গত ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিষিদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হয় এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে সেনাপ্রধানসহ রাষ্ট্রপতির দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রেও জামায়াতে ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পলন করে। কার্যত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বর্তমান সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।

নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের মামলাটি আপিল বিভাগে পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

তিনি বলেছেন, ‘নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে আবেদন করে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানি করার জন্য আবেদন করব। আমরা আশা করি, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইনগতভাবে ফিরিয়ে দেবেন।’

উল্লেখ্য, এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সেই আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গর্তটির গভীরতা প্রায় ১৫০ ফুট, শিশুটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে : ফায়ার সার্ভিস Dec 11, 2025
img
পানছড়িতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় ৩ ভারতীয় নাগরিক আটক Dec 11, 2025
img
মোহাম্মদপুরের ঘটনায় সেই গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে Dec 11, 2025
img
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা প্রার্থনায় পদে পুর্নবহাল হলেন সেই চিকিৎসক Dec 11, 2025
img
সৌদি আরবে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা Dec 11, 2025
img
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ আটকে দিলো পুলিশ Dec 11, 2025
img

গুমের মামলা

হাসিনা-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল Dec 11, 2025
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই নতুন বিশ্বে অস্ট্রেলিয়ান কিশোররা Dec 11, 2025
img
৫ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ Dec 11, 2025
ভোলা-৪ চরফ্যাশনে ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল র‍্যালি! Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণা ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন ভবন Dec 11, 2025
img
আসিফ-মাহফুজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের দাবি Dec 11, 2025
img
১৬ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রকাশ্যে এলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো Dec 11, 2025
img
সিউলে রৌপ্য পদক জিতলো বাংলাদেশের ক্যালিব্রেটর-জেড Dec 11, 2025
img
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নিরব এবার পা রাখলেন উদ্যোক্তার জগতে Dec 11, 2025
img
অভিনয়ের আগে শুটিং সেটে বাসন ধোঁয়ার কাজ করত দেব Dec 11, 2025
img
কাদের মোল্লার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশবাসীর প্রতি জামায়াত আমিরের আহ্বান Dec 11, 2025
img
‘হঠাৎ বৃষ্টি’র সেই সেই প্রিয়াঙ্কা এখন কোথায়? Dec 11, 2025
img
সড়ক ছাড়ল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা, ফার্মগেটে যানচলাচল শুরু Dec 11, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে ডিপো বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত Dec 11, 2025