শিক্ষার্থীদের ক্লাস-ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্লবের সুফল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্ম গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস-ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি।

এই বার্তায় উল্লেখ করেন, পড়াশোনা ছেড়ে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য শিক্ষার্থীরা জীবন বাজি রেখেছে। প্রয়োজনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রের দায়িত্বও পালন করেছে। আমাদের এই বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার। তাই ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদের ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশ সংস্কারের ক্ষেত্রে জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আমাদের প্রথম কাজ। ইতোমধ্যে গণহত্যার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর কাজ শুরু করেছে। এই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল তৈরির জন্য শীর্ষ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এছাড়া, খুনিদের প্রত্যর্পন ও স্বৈরাচারের সময় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছে তা দেশে ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করার পাশাপাশি ‘গুম সংস্কৃতি’ সমাপ্তি করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পদেক্ষপ নিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এছাড়া আন্দোলনে আহতদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা, নিহত পরিবারের দেখাশোনা ও দৃষ্টিহারানোদের চোখে আলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শীঘ্রই একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে যারা আন্দোলনে মারা গেছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ঢাকায় এনে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পর্তুগালে নাগরিকত্ব আইনের কিছু ধারা স্থগিত করল আদালত Dec 19, 2025
img
‘ব্যথা’ নিয়ে হাজির বাপ্পা মজুমদার Dec 19, 2025
img
সাম্প্রদায়িক শক্তি ফ্যাসিবাদের চেয়ে ভয়ংকর : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় Dec 19, 2025
img
বাবার পাশে শায়িত হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন হাদি Dec 19, 2025
img
কারওয়ান বাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে ২ ফায়ার ফাইটার আহত Dec 19, 2025
img
কারওয়ান বাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে ২ ফায়ার ফাইটার আহত Dec 19, 2025
img
ঢাকায় রওনা দিলেন হাদির পরিবার Dec 19, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, উভয় লেনে যানজট Dec 19, 2025
img
প্রশান্ত মহাসাগরে আরও ২ জাহাজে মার্কিন হামলায় প্রাণ গেল ৫ জনের Dec 19, 2025
img
আফগানিস্তানে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প Dec 19, 2025
img
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শনিবারের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত Dec 19, 2025
img
সারা অর্জুনের কাঁধে চুমু ৭১ বয়সী রাকেশের! Dec 19, 2025
img
সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে সতর্ক থাকুন : সরকারের বিবৃতি Dec 19, 2025
img
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক Dec 19, 2025
img
কর্মসূচি স্থগিত, জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি Dec 19, 2025
img
স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, বাড়ছে উপস্থিতি Dec 19, 2025
img
হাদির ন্যায়বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ শুরু Dec 19, 2025
img
এবার ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেল ‘অ্যাভাটার’ Dec 19, 2025
img
চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় ভারতীয় হাই কমিশনারের বাসভবন Dec 19, 2025
img
শাহবাগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের’ ডাক সাদিক কায়েমের Dec 19, 2025