বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বাড়ায় দেশে বেড়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের গত ১৭ দিনে (১ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ১৪৩ কোটি মার্কিন ডলার। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার। যা আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৮৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আবার চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ৫৫৬ কোটি ডলার। যা আগের বছরের পহেলা জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় এসেছিল ৪৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
চলতি সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। এতে দেশে প্রবাসী আয় বেড়েছে।
হুসনে আরা শিখা বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বাড়ানোর কারনে এখন হন্ডি বা অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এতে বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থ পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে পারলে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে বলেন মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মেতে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং আগস্টে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে।
আগের বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।