রপ্তানির খবরে দেশের বাজারে ইলিশের বাজার চড়া

রাজধানীর বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। দুই সপ্তাহ আগে যে দাম ছিল, তার চেয়ে অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের দাম ছিল চড়া। এরমধ্যে নতুন করে দাম বাড়ার ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ।
 
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশের দাম এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। যা দুদিন আগেও ছিল এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া একদম ছোট সাইজের ইলিশ (২০০-২৫০ গ্রাম প্রতিটি) আগে ৫০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও এখন ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না।

কারওয়ানবাজারের মাছ আড়তের বাইরে খুচরা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, মোকামে মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে, যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দাম বেশি। এ কারণে দাম বেড়েছে। দাম বাড়লে তো আর লোকসান করে বিক্রি করব না, আমরাও বাড়িয়েছি।

বাড়তি দামে ইলিশ কিনে ক্রেতারা খুশি নন। এক ব্যক্তি মাছ কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, দুদিন বৃষ্টি হচ্ছে। মনে করেছিলাম মাছের দাম কিছুটা কমবে। কিন্তু কমেনি। গত সপ্তাহের মতো আজও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ভারতে রপ্তানির খবরে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে। মোকাম থেকে ইলিশ আসছে কম, বরিশাল ও চাঁদপুরেও দাম বেড়েছে।

এক ইলিশ ব্যবসায়ী বলেন, ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষের পথে। বাজারে ইলিশ কম। চলতি মৌসুমের আর যে কয়দিন আছে, ইলিশের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ভারতে রপ্তানির খবরে ইলিশের দাম আরও বেড়ে গেছে। বর্তমানে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। যা আগে ছিল এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা, যা আগে ছিল এক হাজার ২০০ টাকা।

তিনি বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবরের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ইলিশের মোকামগুলোতে আকারভেদে মণপ্রতি ৮ থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। বাজারে ইলিশের দাম বেশি বলে সাধারণ ক্রেতারাও ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে এসে এক ক্রেতা বলেন, নিজের দেশের ইলিশ আমাদের মুখে উঠছে না। এক কেজি ওজনের ইলিশের দামে ২ কেজি গরুর মাংস কেনা যায়। গতকাল ২৫ কেজি চাল কিনেছি এককেজি ইলিশের দামে। ফলে এ দাম নিশ্চয়ই স্বাভাবিক দাম বলা যায় না।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তা থেকে সরে এসে তারা ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আরেক প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

Share this news on:

সর্বশেষ