পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বৈঠকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায়; পার্বত্য জেলাসমূহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সশস্ত্র গ্রুপের অপতৎপরতা রোধে করণীয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গি প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা; বিভিন্ন মাজার-দরগার নিরাপত্তা বিধান; মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; গার্মেন্টস কারখানা, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধে করণীয়; মিয়ানমার সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে, ভালো হবে। পূজা নির্বিঘ্ন করতে যত ধরনের পদক্ষেপ নিতে হয় তা নিবো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো তা বলবো না, কিন্তু সন্তোষজনক আছে। সেটা দিনদিন আরও ভালো হবে, এজন্যে গণমাধ্যমের সহায়তা চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং মাদক বন্ধ করতে হলে মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে। সেটা নিয়ে কাজ করছি। দিন দিন পরিবেশ ভালো হবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নতুন করে বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজিবি, আনসার, এসআই নিয়োগ হবে শিগগিরই। জুলাইয়ের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ১৮৭ পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেইনি। তারা এখন আর পুলিশ সদস্য নন। তাদেরকে ক্রিমিনাল (অপরাধী) হিসেবে দেখা হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রম্যা নয়, রজনীকান্তের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া Dec 11, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সিক্সজি’ মন্তব্যে ফের সমালোচনার ঝড় Dec 11, 2025
img
ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামানো পেসার ছিটকে গেলেন ম্যাচ থেকে Dec 11, 2025
img
লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতির কা‌ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ Dec 11, 2025
img
চীনে প্রবেশে নতুন নিয়ম, ফ্লাইটে ওঠার আগেই নিতে হবে ‘অ্যারাইভাল কার্ড’ Dec 11, 2025
img
গর্তটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট, ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেছে কেবল ৩০ ফুট Dec 11, 2025
img

সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র

শওকত মাহমুদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি আজ Dec 11, 2025
img
সাজিদের খোঁজে ৪৫ ফুট গভীরে ফায়ার সার্ভিস, এখনো হয়নি শনাক্ত Dec 11, 2025
img
জনতার মতামতেই তৈরি হবে জামায়াতের নির্বাচনি ইশতেহার: ডা. শফিকুর রহমান Dec 11, 2025
img
পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু বিষয় সংসদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত: আপিল বিভাগকে অ্যাটর্নি জেনারেল Dec 11, 2025
img
এ মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন : ইশরাক Dec 11, 2025
img
টোটা রায় চৌধুরী অভিনীত নতুন ফেলুদা সিরিজ আসছে হইচইতে Dec 11, 2025
img
ভারতবিদ্বেষী হয়েও 'ধুরন্ধর' গানে মাতলেন প্রতিবেশী দেশের লোকেরা Dec 11, 2025
img
নির্বাচনের পর পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি Dec 11, 2025
img
হাতিয়ার উন্নয়নে সব দলের ঐক্যের বিকল্প নেই: হান্নান মাসউদ Dec 11, 2025
img
কৃষভিকে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে কাঞ্চন-শ্রীময়ী Dec 11, 2025
img
ঐশ্বরিয়া আর আরাধ্যাকে নিয়ে অভিষেকের স্বীকারোক্তি Dec 11, 2025
img
কলকাতায় যাচ্ছেন মেসি, শহর জুড়ে উৎসবের আমেজ Dec 11, 2025
ঈদে বক্স অফিস লড়াই থেকে সরে গেলেন অজয় দেবগন Dec 11, 2025
img
জীবনের প্রতিটি সম্পর্কই আমাকে সমৃদ্ধ করেছে : আমির খান Dec 11, 2025