যুদ্ধে গাজার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত : জাতিসংঘ

জাতিসংঘ সোমবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, ইউএন স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউএনওএসএটি) ক্ষতির মূল্যায়ন হালনাগাদ করে বলেছে যে ৩ এবং ৬ সেপ্টেম্বর সংগৃহীত অতি উচ্চ-রেজোলিউশন চিত্রাবলি থেকে দেখা যায় যে পরিস্থিতির স্পষ্ট অবনতি ঘটেছে। ‘এই বিশ্লেষণ... দেখায় যে গাজা উপত্যকার মোট কাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ৬৬ শতাংশ মানে মোট সংখ্যা হলো এক লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি। এতে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম দিকের চিত্রাবলির ওপর ভিত্তি করে সর্বশেষ মূল্যায়নে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৬৩ শতাংশ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিরূপণ করা হয়েছে।

গত সোমবারের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে যে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ৫২ হাজার ৫৬৪টি কাঠামো ধ্বংস, ১৮ হাজার ৯১৩টি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ৩৫ হাজার ৫৯১টি সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫৬ হাজার ৭১০টি মাঝারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, গাজা শহর উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ৩৬ হাজার ৬১১টি কাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

ইউএনওএসটিএ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে যে গাজা উপত্যকার প্রায় ৬৮ শতাংশ স্থায়ী শষ্যক্ষেত্র সেপ্টেম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বন্দি অবস্থায় নিহত জিম্মিদের অন্তর্ভুক্ত করে এএফপির একটি সমীক্ষা অনুসারে ইসরাইলে ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার ফলেিএক হাজার ২০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক সামরিক হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ৬৫১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এ পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে।

ইউএন ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চের (ইউএনআইটিআর)অংশ, জেনেভা-ভিত্তিক ইউএনওএসএটি বলে যে তার স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ মানব সম্প্রদায়কে সংঘাত-সম্পর্কিত ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সাহায্য করে এবং জরুরি ত্রাণ প্রচেষ্টা গঠনে সহায়তা করে।

ইউএনআইটিআরের নির্বাহী পরিচালক নিখিল শেঠ বলেছেন, গত বছর ধরে ইউএনওএসএটি’র দল গাজায় ভবন ও অবকাঠামোর ওপর সংঘাতের প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বকে সুনির্দিষ্ট ও সময়োপযোগী অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
ধাড়াক ২ ট্রেলারে নজর কাড়লেন সিদ্ধান্ত ও তৃপ্তি Jul 12, 2025
img
'জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি', সায়মা ওয়াজেদকে বাধ্যতামূলক ছুটি নিয়ে প্রেস সচিব Jul 12, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার আভাস Jul 12, 2025
img
‘বাহুবলী ৩’ কি আসবে? দশ বছর পরেও প্রশ্ন অনড় Jul 12, 2025
img
‘সরকার বরাবরের মতোই নীরব’, মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধন Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় আরও একজনসহ মোট গ্রেফতার ৫ Jul 12, 2025
img
কেবল পর্দার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনেও আসছেন এই অভিনেতারা Jul 12, 2025
তোমরা তো ১৩ মাসের নেতা; মুখ খুললেন সাংবাদিক নেতারা! Jul 12, 2025
img
'তারেক রহমানকে নিয়ে রাজপথে যে অশ্লীল অশ্রাব্য স্লোগান দেয়া হচ্ছে তার পরিণতি ভালো হবে না' Jul 12, 2025
img
নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতায় আসমান জমিন ফারাক: রিফাত রশিদ Jul 12, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিলেও ফিনিশিংয়ে ভরসা পাচ্ছেন না কোচ Jul 12, 2025
img
কুবি শিক্ষার্থীদের ৩টি বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ Jul 12, 2025
img
ফেনীর বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম Jul 12, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘শান্তির তত্ত্ব’ ভেস্তে গেছে: ইরান Jul 12, 2025
img
আবারও একসঙ্গে রাজ–মন্দিরা, আসছে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ Jul 12, 2025
img
জোতাকে সম্মান জানিয়ে চিরতরে অবসরে লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি Jul 12, 2025
img
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে: আসিফ নজরুল Jul 12, 2025
img
অনুমতি ছাড়া মাছ ধরায় সৌদিতে বাংলাদেশি আটক Jul 12, 2025
img
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ বাংলাদেশি Jul 12, 2025