ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও লেবাননে একদিনে নিহত ২২০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বর্বরতা চলছেই। হামলায় দুই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

এ ছাড়া লেবাননেও নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৭৭ লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৩২ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন।

উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইল বিমান হামলা চালালে ১৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু আছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এখনো নিখোঁজ কয়েক ডজন মানুষ। তারা ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণ করা হচ্ছে। হামলার শিকার হওয়া পাঁচতলা ভবনটিতে গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, হামলার পর আহত ব্যক্তিদের অনেককে হাসপাতালটিতে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে যোগ দিয়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সার্জনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আলজাজিরাকে তিনি বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাবে আহত ব্যক্তিদের অনেকে মারা যেতে পারেন।

আবু সাফিয়া আরও বলেন, বিশ্বের উচিত বসে বসে গাজা উপত্যকার গণহত্যার দৃশ্য না দেখে পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, মঙ্গলবার সারাদেশে হামলায় অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। দক্ষিণের শহর সারাফান্দে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

জবাবে, ইসরাইলি সেনাদের এক সমাবেশে রকেট হামলার দাবি করেছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। জিম্মি করা হয় দুই শতাধিক মানুষকে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক বছরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬১ জনে। আহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২২৩ জন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি সরকার গঠন করলে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পেছনে ঘুরতে হবে না: খসরু Dec 06, 2025
img
মাস্কের এক্সকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা ইইউ’র, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ Dec 06, 2025
img
বেগম জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই: আমীর খসরু Dec 06, 2025
img
মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতার মশাল মিছিল Dec 06, 2025
img
সব দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক : নাহিদ ইসলাম Dec 06, 2025
img
নির্বাচন-নির্বাচন করে তারা এখন নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে: সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম Dec 06, 2025
img
‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ট্রাম্প Dec 06, 2025
img
বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেস আমার মতোই রক এন্ড রোল থাকবে: পলাশ Dec 06, 2025
img
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অ্যাম্বাসেডর হলেন অভিনেতা পলাশ Dec 05, 2025
img
ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে চায় রাশিয়া, ঘোষণা পুতিনের Dec 05, 2025
img
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য ভাইরাস: সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 05, 2025
img
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি Dec 05, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে যাননি বলে গণতন্ত্রের মহাসড়কে বাংলাদেশ: অ্যাটর্নি জেনারেল Dec 05, 2025
img
আলোচনা ছাড়াই করা গোপন চুক্তিতে জনগণের দায় নেই : জোনায়েদ সাকি Dec 05, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে ওয়াশিংটনে ২০২৬ বিশ্বকাপ ড্র Dec 05, 2025
লাতিন বাংলা সুপার কাপে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল Dec 05, 2025
img
বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই ছিটকে গেলেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা Dec 05, 2025
২০২৬ বিশ্বকাপে কার হাতে উঠবে ট্রফি, তা নিয়েই ফুটবল ভক্তদের উত্তেজনা তুঙ্গে Dec 05, 2025
img

শহিদুল ইসলাম বাবুল

শিক্ষকের মর্যাদা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে Dec 05, 2025
img
পুরোনো রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই : মঞ্জু Dec 05, 2025