টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শিরোপা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছে তারা। বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে ফিরছেন সাফ চ্যাম্পিয়নরা। গোটা দেশের চোখ এখন সাবিনাদের দিকে।
কিন্তু এরই মধ্যে লজ্জার সাগরে ডুবেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একদিনে দুইবার অলআউট হয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে শান্তর দল। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৩ রানে। এতে স্বাগতিকদের রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ও ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরে। প্রথম টেস্টের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগের ম্যাচ হারায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে কেবল তারা ধবলধোলাই এড়াতে পারত। আরও একবার বেহাল ব্যাটিংয়ে সেটিকে অসম্ভব প্রমাণ করেছেন শান্ত-মুশফিক ও সাদমান ইসলামরা।
ম্যাচের দুটি ইনিংসেই বাংলাদেশের তাড়না ছিল যেন কত দ্রুত ম্যাচটি শেষ করা যায়! দক্ষিণ আফ্রিকার টেল-এন্ডার ব্যাটাররাও যেখানে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছে, সেখানে টাইগাররা কত দ্রুত আউট হওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল!
তিন সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে মাত্র ১৫৯ রানেই গুটিয়ে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ। বুধবার (৩১ অক্টোবর) টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেই তারা ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দলীয় সংগ্রহে আর ১২১ রান যোগ করতেই পড়ে বাকি ৬ উইকেট। এরপর ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে পাঠায় এইডেন মার্করামের প্রোটিয়া শিবির।
এদিন দুপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৩১ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। এরপর ২ বলে শূন্য রান করে ফেরেন আগের ইনিংসে ৮২ রান করা মুমিনুল হক।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসানও। ২৬ বলে ৭ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। এরপর ২ বলে ২ রান করে অভিজ্ঞ মুশফিক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে দলীয় ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মিরাজ ৬ রান করে আউট হলে পিচে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি শান্ত। ৫৫ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। তাইজুল ১ রান করে আউট হলে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
দিনের শেষ সময়ে কেশব মাহরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৬৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ৩০ বলে ৩৮ রান করে হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকলেও ৫ বলে শূন্য রান করে নাহিদা আউট হলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের হয়ে এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন কেশব মাহরাজ। আরেক স্পিনার সেনুরান মুথুসামি নেন চার উইকেট। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন ডেন প্যাটারসন।