পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু বাজারে সরবরাহ সংকট না থাকলেও খাদ্যপণ্যের দাম এখনো চড়া
গত দুই সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছিল। যা এখন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে। একই ভাবে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় উঠেছিল। শীতকালীন সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি টাকা দরে। আলুর এ দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে আরও পাঁচ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকার মধ্যে।
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল।
আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় দুই দফায় আলুর বীজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে ছিল অস্থিতিশীলতা।
বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে গত সপ্তাহ থেকে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।
সবজি বিক্রেতারা আবু হানিফ জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।