শিশুর সর্দি? জেনে নিন কী করবেন

শিশুর সর্দি একটি সাধারণ, অস্বস্তিকর সমস্যা, যা বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জি বা ছোটখাটো সংক্রমণ থেকে সৃষ্টি হয়। যদিও এটি সাধারণত ক্ষতিকারক নয়, তবে সর্দির সমস্যা ঘুম এবং খাওয়ার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। বেশ কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার সর্দির সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং ওষুধ ছাড়াই শিশুর সর্দির সমস্যা দূর করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ড্রপ বা স্প্রে

ড্রপ বা স্প্রে শিশুদের মধ্যে বন্ধ নাক খোলার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে কাজ করে, নাক পরিষ্কার করা সহজ করে তোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে, প্রতিটি নাসারন্ধ্রে কয়েক ফোঁটা তিলে দ্রুত উপশম দিতে পারে।

The Journal of Pediatric Otorhinolaryngology-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ড্রপ বা স্প্রে কোনো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সর্দি কমাতে কার্যকর। এটি একটি মৃদু পদ্ধতি যা দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে খাওয়ানো এবং ঘুমের আগে।

২. গরম পানিতে গোসল এবং বাষ্প থেরাপি

এই পদ্ধতি শ্লেষ্মা আলগা করতে এবং নাকে প্রদাহ কমাতে পারে, যা সর্দি থেকে মুক্তি দেয়। গরম পানিতে গোসল করলে তা হালকা বাষ্প তৈরি করে যা শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে। এটি শিশুর শরীরকে শিথিল করতে পারে, ঘুমও ভালো হয়।

জার্নাল অফ অ্যাজমা-এর একটি গবেষণা অনুসারে, গরম পানির ভাপ নিলে তা শ্লেষ্মাকে ময়েশ্চারাইজিং এবং আলগা করে শ্বাস নালীর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতি শিশুকে সর্দির সমস্যা থেকে সাময়িক আরাম পেতে সাহায্য করতে পারে।

৩. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার

শ্লেষ্মা শুকিয়ে গেলে শিশুদের জন্য আরামে শ্বাস নেওয়া কঠিন করে তোলে। আপনার সন্তানের ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে তা বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করবে, যা নাকের ভেতরে খুব শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে শ্লেষ্মাকে অবাধে প্রবাহিত হতে দেবে।

পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজিতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, নাকের ভেতরের প্রদাহ কমাতে এবং শিশুর সামগ্রিক শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আর্দ্র বাতাসের ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় বা উত্তপ্ত ঘরে। ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়া এড়াতে নিয়মিত হিউমিডিফায়ার পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ সরাতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025
img
ফরিদগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ Sep 17, 2025
img
রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : সেলিমা রহমান Sep 17, 2025
img
শ্বশুরবাড়ি নয়, মায়ের কাছেই বেশি থাকছেন ঐশ্বরিয়া! Sep 17, 2025
img
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম Sep 17, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৭ কোটি ডলার Sep 17, 2025
img
ক্যারিয়ার, সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মালাইকা Sep 17, 2025
img
নাটকীয়তা শেষে মাঠে আসলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা Sep 17, 2025
সংবিধান আদেশে জুলাই সনদের প্রস্তাবনা গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা পাবে Sep 17, 2025