আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি: হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশ

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনায় আজ থেকে এক মাসের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে সরকারকে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। একইসঙ্গে চুক্তির বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

এর আগে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা অথবা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ুম। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর কার্যকর হওয়া আদানি (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।

গত ৬ নভেম্বর পিডিবি চেয়ারম্যান ও জ্বালানি সচিবকে তিন দিনের মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে একতরফা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিল করতে আইনি নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী।

রিট পিটিশনে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন যে এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নিম্নগ্রেডের কয়লার এই বিদ্যুতের জন্য অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে বেশি দাম দেবে।

অস্ট্রেলিয়ায় আদানির মালিকানাধীন একটি খনি থেকে কয়লা সরবরাহ করা হবে ভারতে আদানির একটি বন্দরে। সেই কয়লা বাংলাদেশের খরচে তৈরি গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঠানো হবে।

রিট আবেদনে আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয় বিপিডিবি মূলত এমন এক বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করেছে যেখানে আদানি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে কয়লা আমদানি করবে এবং এর পুরো ব্যয় বাংলাদেশকে বহন করতে হবে।

রিট পিটশনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বলেন, এর সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে পিবিডিবি কীভাবে এই একতরফা চুক্তি করেছে তা অকল্পনীয়।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতে তামাকজাত পণ্যের দামে বড় ধাক্কা Dec 04, 2025
img
বিশ্বকাপ ড্রয়ের আগমুহূর্তে বার্তা দিলেন মেসি Dec 04, 2025
img
পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে Dec 04, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ : আপিল বিভাগ Dec 04, 2025
img
ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে ‘অভিযোগ’ জানালেন অনুপম খের Dec 04, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা, কমছে তাপমাত্রা Dec 04, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার জন্য শুক্রবার সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের Dec 04, 2025
img
‘আবার ভূমিকম্প, সর্বশক্তিমান আমাদের রক্ষা করুন’ Dec 04, 2025
img
ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তি অনুমোদন রাশিয়ার Dec 04, 2025
img
১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল হওয়া মোবাইল ফোন কোনোভাবেই বন্ধ হবে না: মন্ত্রণালয় Dec 04, 2025
img
শীতকালে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও সতর্কতা Dec 04, 2025
img
পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান চান: ট্রাম্প Dec 04, 2025
img
আজ দেখা যাবে ‘কোল্ড মুন’ Dec 04, 2025
img
ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন Dec 04, 2025
img
কোহলির কীর্তি ম্লান করে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয় Dec 04, 2025
img
আজ ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন Dec 04, 2025
img
আজ বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট Dec 04, 2025
img
৩০২ স্কোর নিয়ে দূষণে আবারও বিশ্বের শীর্ষে ঢাকা Dec 04, 2025
img
নোয়াখালীতে বিআরটিসির ২ বাসে আগুন Dec 04, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে : ট্রাম্প Dec 04, 2025