মূল্যস্ফীতির কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘোষণা হবে নতুন মুদ্রানীতি, বাড়বে না নীতি সুদহার

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তিন দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ইতিবাচক ফল আসেনি বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অর্থবছরের শেষ আর্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে চলতি মাসের শেষ দিকে। নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার আর বাড়ানো হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপরিবর্তিত রাখা হবে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও।

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাজারে অর্থের সরবরাহ, বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় মুদ্রানীতির মাধ্যমে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল ও টেকসই করতে বাংলাদেশে যা ঘোষণা করা হয় প্রতি ছয় মাস পর। গেলো ১৮ জুন সবশেষ মুদ্রানীতির পর পুরোটাই বাস্তবায়ন হয় অন্তবর্তী সরকারের আমলে। আর গেলো ১৪ আগস্ট দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

গেলো ছয় মাসে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছেন নতুন গভর্নর। এই সময়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাড়ে আট শতাংশের নীতি সুদহার তুলেছেন ১০ শতাংশে। ডলারের দর ঠিক করতে আরোপ করেছেন নতুন পদ্ধতি। তাই আসছে মুদ্রানীতিতে চমক দেয়ার সুযোগ কমই থাকছে তার হাতে।

সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মুদ্রানীতিতে কারিশমা দেখানোর বিষয় নয়, সঠিক নীতিমালা নেয়াটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।

এরই মধ্যে মুদ্রানীতি বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক একাধিক সভা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমলে রাখা হয়েছে গেলো ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত। একই সাথে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় সেখানেও নতুন করে চিন্তা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেবল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে দেয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এম কে মুজেরী বলেন, কেবল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে দেয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উৎপাদনের ওপর। পাশাপাশি বিনিয়োগের ওপরও বিরোপ প্রভাব পরবে।

প্রতিবছর জানুয়ারিতে মুদ্রানীতি প্রকাশের চল থাকলেও এবার তা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মডেল সানাইয়ের স্বামী Sep 16, 2025
img
সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি নিজেকেও পরিবর্তন করতে হবে : রিজওয়ানা Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী : নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে : শ্রাবন্তী Sep 16, 2025
img
৩০ মামলার আসামি নৌ ডাকাত আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ Sep 16, 2025
img
বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে ইডি দপ্তরে অঙ্কুশ Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গায় বিএনপির শান্তি মিছিল, আন্দোলন স্থগিত শনিবার পর্যন্ত Sep 16, 2025
img
বাংলাদেশের শুরুতে রান দরকার, লিটনের সাহায্য প্রয়োজন: সাইমন ডুল Sep 16, 2025
বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির Sep 16, 2025
img
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মাসুদ কামাল Sep 16, 2025
img
এবার এনসিপি নেত্রীর পদত্যাগ Sep 16, 2025
img
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ঢাকায় একদিনেই ২১৫২ মামলা Sep 16, 2025
img
এনআইডি আইন বাতিলসহ ৫ দফা সুপারিশ ইসি কর্মকর্তাদের Sep 16, 2025
img
ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশের ভাগ্যে কী ঘটবে? Sep 16, 2025
img
রাশিয়া ও কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার Sep 16, 2025
img
রংপুরে ট্রেনের ৬ বগি লাইনচ্যুত Sep 16, 2025
img
সংগীতশিল্পী দীপ আর নেই Sep 16, 2025
img
নির্বাচন পেছাতে যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে জামায়াত : নিলোফার মনি Sep 16, 2025
img
ফার্মগেটে ভিক্ষা করে ৫০০ টাকা পেয়েছিলেন নাসির উদ্দিন খান Sep 16, 2025
img
১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হোক, ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান Sep 16, 2025