বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে বন্ধ হবে ২২ লাখ সিম

বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করার নিয়ম থাকলেও অনেকে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব মতে নিবন্ধন সীমার বাহিরে থাকা সিমের সংখ্যা ২২ লাখ ৩০ হাজার।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই (রাত ১২টার পর) নিবন্ধন সীমার বাহিরে থাকা এই ২২ লাখ ৩০ হাজার সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। তবে করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সীমার বাইরে থাকা প্রায় সাড়ে ২২ লাখ সিমের মধ্যে রবির সাত লাখ ৮০ হাজার, বাংলালিংকের চার লাখ ৯৫ হাজার, গ্রামীণফোনের চার লাখ ৬৫ হাজার এবং টেলিটকের চার লাখ ৯০ হাজার সিম রয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, সীমার বাইরে সিমের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে । কারণ বিটিআরসির সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম বা সিবিভিএমপি সার্ভারে এখনো মোবাইল অপারেটররা তাদের সব গ্রাহকের তথ্য দেয়নি।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে এক এনআইডির বিপরীতে ১৫টির অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব গ্রাহক ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করেছেন, সেসব গ্রাহককে আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে নিজে হাজির হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতিরিক্ত সিম/রিম নিষ্ক্রিয় করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

ওই সময়সীমার পর সব গ্রাহকের সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত সিম/রিম কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হওয়ার আগেই সিমের সংখ্যা নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি।

এর আগে কয়েক দফায় ১৫টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বিটিআরসি জানায়, এখন থেকে নির্ধারিত সীমার বাইরে কোনো গ্রাহক (করপোরেট গ্রাহক ছাড়া) সিম নিবন্ধন করতে পারবেন না। করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে শুধু কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য সিম/রিম ক্রয়ের জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি (পয়েন্ট অব কন্টাক্ট) ওই সর্বোচ্চ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন। নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানারও সুযোগ করে দিয়েছে বিটিআরসি।

২০১৬ সালের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহকপ্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ২০১৭ সালে ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।

বিটিআরসির সর্বশেষ মার্চের হিসাব মতে, দেশে মোট ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের সাত কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার, রবির চার কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার, বাংলালিংকের তিন কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার এবং টেলিটকের ৪০ লাখ ১৪ হাজার সিমের গ্রাহক রয়েছেন।

যেভাবে জানা যাবে নিজের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা

গ্রাহক তার নামে কতসংখ্যক সিম রয়েছে, তা *১৬০০১# ডায়াল করে ফিরতি রিপ্লাই অনুসরণ করে বিনামূল্যে সংখ্যা জানা যাবে।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: