সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্যের (এমপি) আমদানি করা ২৪টি গাড়ি নিলামে উঠেছে। পাশাপাশি অন্য ২০টি গাড়িও নিলামে তোলা হয়। এমপিদের গাড়িগুলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের, যেগুলোর বেশির ভাগেরই দাম শোরুমে ৮ কোটি টাকার বেশি।
গতকাল( ১৭ ফেব্রুয়ারি ) টেন্ডার বাক্স উন্মুক্ত করে এ ঘটনায় হতবাক হন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রত্যাশিত দামের চেয়ে অনেক কম দর পাওয়ায় গাড়িগুলো আবার নিলামে তোলা হতে পারে। এসব গাড়ির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও (এনবিআর)।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে এই গাড়িগুলো ফেলে যান সাবেক সংসদ সদস্যরা। সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টিসহ এ দফার প্রথম নিলামে মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এই নিলাম করে।
তবে সংসদ সদস্যদের গাড়ি কেনার জন্য হুড়োহুড়ি না থাকলেও নিলামে তোলা অন্য গাড়িগুলো কেনায় প্রতিযোগিতা ছিল বেশি। কোনো কোনো গাড়ি কেনার জন্য ২০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দর দিয়েছে।
যেসব সাবেক এমপির গাড়ি নিলামে উঠেছে তারা হলেন– এস এম কামাল হোসাইন (খুলনা-৩), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-৫), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), আক্তারউজ্জামান (গাজীপুর-৫), শাম্মী আহমেদ (সংরক্ষিত আসন-১৭), সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ (ময়মনসিংহ-১১), মোহাম্মদ সাদিক (সুনামগঞ্জ-৪), এস এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), মো. নাসের শাহরিয়ার (ঝিনাইদহ-২), জান্নাত আরা হেনরী (সিরাজগঞ্জ-২), শাহ সরোয়ার কবীর (গাইবান্ধা-২), মজিবুর রহমান মঞ্জু (বগুড়া-৫), মো. তৌহিদুজ্জামান (যশোর-২), আব্দুল মোতালেব (চট্টগ্রাম-১৫), সানজিদা খানম (সংরক্ষিত আসন-৩২), মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭), তারানা হালিম (সংরক্ষিত আসন-১৮), রুনু রেজা (সংরক্ষিত আসন-১২), মো. আসাদুজ্জামান (রংপুর-১), মো. সাদ্দাম হোসাইন (নীলফামারী-৩), মো. সাইফুল ইসলাম (ঢাকা-১৯), এবিএম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭) এবং সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪)।