শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবারের মতোই জরুরি ঘুম। চিকিৎসকদের মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর চেয়ে কম বা বেশি ঘুম শরীরের নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমানো বিপদের কারণ হতে পারে, বিশেষত রাতে কম ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তবে মাঝে মাঝে তন্দ্রা যাওয়া ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করতে পারে এবং শরীরের জন্য উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দিনে ঘুমালে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ এবং ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, দিনের বেলা শরীর সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে এবং দুপুরের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার পর যদি ঘুমানো হয়, তবে বদহজম, গ্যাস, চর্মরোগ, বমিভাব, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। দিনের বেলা দীর্ঘ সময় ঘুমালে রাতে ঘুমও বিঘ্নিত হয়, যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এক পেট ভাত খেয়ে না ঘুমিয়ে ১৫-২০ মিনিট পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া আরও ভালো। এতে ক্লান্তি কাটে, স্ট্রেস কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। কড়া কফি খাওয়ার বদলে, কয়েক মিনিটের ন্যাপ নেওয়া বেশি উপকারী। দিনে ঘুমালে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে, তবে পাওয়ার ন্যাপ নিলে রাতে ঘুমে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।
ন্যাপ নেবার জন্য, শান্ত এবং আরামদায়ক স্থানে শুয়ে নিতে হবে, যাতে ঘুম দ্রুত আসতে পারে এবং তাড়াতাড়ি ভাঙবে। দুপুর ২টা থেকে ৩টা সময়টা ন্যাপ নেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো, কারণ এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকে।