বিদেশি ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পর, এবার বাড়ছে দেশি ফলের দাম। বরই, পেয়ারা, পেঁপে বাড়তি দামে কেনায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় দেশি ফলের সরবরাহ কম। পাইকারি বাজার থেকে তারাও কিনছেন বাড়তি দামে।
বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুট ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশি ফলের দাম বেশি হওয়ায় চাপ পড়ছে দেশি ফলের ওপর। তাই দাম বেড়েছে বড়ই-পেয়ারার দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দেশি ফলের দোকান ঘুরে মিলেছে এ কথার সত্যতা। সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি করা ফলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশি ফলের দাম। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পেয়ারা, বরইয়ের মত ফল।
ক্রেতারা বলেন, এ বছর পেয়ারার দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেকজন জানান মৌমুস হওয়ায় এত দাম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দাম বেশি। দেশি ফলই যদি এত দাম কিনতে হয়, তাহলে আমদানি করা ফলের দাম তো বেশি হবে। তাহলে আমরা কিনবো কিভাবে।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি আড়তে মান ভেদে এক কেজি পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। খুচরায় ক্রেতাদের পেয়ারা কিনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। মিষ্টি বরই পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, খুচরায় ৮০ থেকে ২০০ টাকা। পাকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। খুচরা বাজারে দর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
দাম বাড়ায় ফল কিনতে এসে কাউকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে, কেউ আবার প্রয়োজনের তুলনায় কিনছেন কম বলেও দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলেন, ফল ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যে ফল প্রতিদিন খেতাম, সেটা মাসে একবার থেকে দুবার কিনতে পারছি।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় তাদের বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব ফল।
আড়তদাররা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে এসব দেশি ফলেরও।
রমজানের আগেই দেশি-বিদেশি ফলের এমন বাড়তি দামে ক্ষোভ বেড়েছে ক্রেতাদের মনে। এদিকে, বেচাকেনা কমে আসার দাবি করে ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
সব সংকট কাটিয়ে রমজানের আগেই স্বাভাবিক হোক দেশি-বিদেশি ফলের বাজার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।