সুনেরাহ বিনতে কামাল বাংলাদেশের বিনোদন জগতে এক উজ্জ্বল নাম। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই বেশি আলোচিত হয়েছেন। বিশেষ করে
‘ন ডরাই’ ছবিতে তার সাহসী ও অনন্য অভিনয় তাকে প্রশংসিত করে এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়।
সামনে আসছে তার অভিনীত ‘দাগি।’ শিহাব শাহীনের এ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন আফরান নিশোর সঙ্গে। মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে শুটিং। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।নির্মাতা একটি র্যাপ-আপ (শুটিং সম্পন্ন) ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আপনাকে দেখা গেল না...
শেষ দিনের শুটিংয়ে আমার শট ছিল না, তাই। আমার শুটিং আগেই সম্পন্ন হয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে শুটিং করলেন।কেমন ছিল এই জার্নি?
‘দাগি’ টিমের সবার সঙ্গেই এটা প্রথম আমার কাজ। ভালো লেগেছে।
আফরান নিশোর সঙ্গে প্রথম কাজ, কেমন দেখলেন তাঁকে? কাজ করে ভালো লেগেছে। সবার সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। আসলে ছবি মুক্তির আগে বেশি কিছু বলতে চাই না।
এখন শুধু ভালো-মন্দটুকু বলতে পারি। ভালো লেগেছে, তাই এটাই বললাম। খারাপ লাগলে তা-ও বলতাম। সবাই কো-অপারেটিভ, বন্ধুসুলভ। খুব আনন্দের সঙ্গেই আমরা শুটিং করেছি।
শোনা যায়, ‘দাগি’তে বাণিজ্যিক আবেদন রয়েছে। প্রত্যাশা কেমন?
ছবি বাণিজ্যিক নাকি অবাণিজ্যিক, এখন আর এভাবে ভাবার যুগ নেই। একটা ভালো গল্প যদি সুন্দরভাবে বানিয়ে দর্শকের সামনে নিয়ে আসা যায়, তাহলে ছবি সফল হয়। অনেক সময় প্রেক্ষাগৃহে ছবি ভালো সাড়া পায় না, তার মানে কিন্তু এটা নয় ছবিটা খারাপ। অনেক ছবি মানুষ হলে বসে দেখতে চায় না, ঘরে বসে ওটিটিতে দেখে, সেটা নিয়ে আলোচনা করে। এটা আসলে দর্শকের মুডের ওপর ডিপেন্ড করে। কিছু গল্প খুব ভালো না হলেও বিনোদনের উপকরণ থাকে। সেটা আবার সিনেমা হলে খুব ভালো চলে। আমার যেটা ভালো লাগবে, যে চরিত্রটা পছন্দ হবে, সেটার দৈর্ঘ্য বা ব্যাপ্তি যতটুকুই হোক, আমি করব। যদি মনে হয়, চরিত্রটি আমার পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করবে, তাহলে ছবিটি করব। দর্শকের পছন্দ হবে কি না, এই ভেবে যদি কাজ করি, তাহলে তো আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হবে না। এত কিছু নিয়ে আসলে মাথা ঘামাইও না। গল্প, চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করা যায়, সেটাই শিল্পীদের ভাবনা থাকা উচিত।
এখানে আপনার চরিত্রটা কেমন?
আমার চরিত্রটা খুব মায়া এবং আশার প্রতিরূপ বলা যায়। বাকিটা ছবি মুক্তি পেলে দর্শক দেখবে।
শুটিং তো শেষ, চরিত্রের ঘোর থেকে বের হতে পেরেছেন?
যখন থেকে অভিনয় করছি, চরিত্রগুলো প্লে করতে গিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। এগুলো আসলে রয়েই যায়, বের করা যায় না। এটা মেনে নিয়েই মুভ অন করতে হয়। সবই অভিজ্ঞতা, আর অভিজ্ঞতা মানুষের সঙ্গেই থাকে। নতুন করে অন্য একটা চরিত্র করি। আবার চাইলে পুরনো চরিত্রটার কথাও মনে করতে পারি।
নতুন কী করছেন?
বেশ কিছু কাজ হাতে আছে। কিছু কাজ করে রেখেছি, আসবে। সিনেমা ও ওটিটির নতুন কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন বিস্তারিত বলতে চাই না। আগে থেকে বলে লাভ কী? কাজ করার পর নানা কারণে সেটা রিলিজ হতে বিলম্ব হয়। সুতরাং আগ বাড়িয়ে না বলাই শ্রেয়। যখন মুক্তি পাবে, তখন দর্শক ঠিকই দেখে নেবেন।
মাস কয়েক আগে নাটকে অভিনয় করলেন। তখন বলেছিলেন, দর্শকের প্রতিক্রিয়া বুঝে নাটকে দীর্ঘস্থায়ী চিন্তা-ভাবনা করবেন। কী ভাবলেন?
বেশ কয়েকটা নাটকই করেছি। সবগুলো এখনো মুক্তি পায়নি। মুক্তি পেলে প্রপারলি বুঝতে পারব। তবে আমার জায়গা থেকে নাটকের অভিজ্ঞতা খুব ব্যতিক্রম ছিল। দুই-তিন দিনের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন করতে হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে কিভাবে চরিত্র রূপায়ণ করতে হয়, সেটা শিখেছি বা শিখছি। তবে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, সিনেমা ও নাটকের মধ্যে কোনটা বেছে নেব? আমি সব সময়ই সিনেমাকেই বেছে নেব। কারণ আমি সিনেমার মানুষ। দর্শক আমাকে নাটকে দেখতে চাচ্ছিলেন, তাই ভাবলাম কয়েকটা কাজ করি। তবে আমার কমফোর্ট জোন সিনেমা। সিনেমার কাজের সময় নাটক বন্ধ রাখছি। আবার সিনেমার বিরতিতে ভালো গল্প-নির্মাতা পেলে নাটক করছি, ব্যাপারটা এ রকমই।