পবিত্র রমজান সামনে রেখে দাম বেড়েছে মুরগি, মাছ ও মাংসের। আগুন লেগেছে লেবু, শসা ও বেগুনের দামেও। তবে রোজার পণ্য হিসেবে পরিচিত খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ–সংকটের তেমন উন্নতি হয়নি। গতকাল ঢাকার তিনটি বাজার ঘুরে মাত্র কয়েকটি দোকানে স্বল্প পরিমাণে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রোজার আগে কম-বেশি দামে অন্যান্য পণ্য কিনতে পারলেও সয়াবিন তেলের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরতে হচ্ছে।’
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এর আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৮০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০-৩১০ টাকা হয়েছে।
বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল। আর কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।
২৭ ফেব্রুয়ারি এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হয়েছে ১০৫০-১১০০ টাকায়। অন্যদিকে চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে সাধারণ মানের লেবুর হালি ছিল ২০-৪০ টাকা, যা গতকাল ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০-৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বেগুন ও শসার দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কম ছিল।
তবে বাজারে এখনো স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম। গত এক মাসের মধ্যে মানভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। এক মাস আগের তুলনায় ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০-৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০-১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০-৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।