মা হতে চাইলে আপনার কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। নিজের এবং গর্ভের সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করতে আপনাকে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করতে হবে। এসব অভ্যাস আপনার ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে। আপনি যদি মা হতে চান, তাহলে আপনার জীবনে এই ৫টি অভ্যাস থাকা জরুরি। চলুন, জানি সেগুলো কী কী-
খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন
ফার্টিলিটি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত এবং গর্ভাবস্থার প্রক্রিয়াকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে এমন খাবার খাওয়া উচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ কিছু খাবার ডিম্বাণু এবং জরায়ুর বিকাশকে সমর্থন করে, ডিম্বস্ফোটনকে উৎসাহিত করে, গর্ভকে পুষ্ট করে এবং ডিম্বাণুর অবক্ষয়কে ধীর করে। এটি ডিম্বাণুর স্বাস্থ্য এবং প্রজনন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা কোষগুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বাড়ায়।
চাপ কমান
আপনি কি জানেন যে চাপের মাত্রা বেশি হলে তা ফার্টিলিটি হ্রাস করতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দিতে পারে? অতএব, সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য চাপ কমানো উচিত। মানসিক চাপ কমাতে প্রার্থনা, ধ্যান অথবা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো শিথিলকরণ কৌশল গ্রহণ করুন।
ধূমপানকে না বলুন
আপনি বা আপনার স্বামী যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে এখনই সেই অভ্যাস ত্যাগ করার সময় এসেছে। এই ক্ষতিকারক অভ্যাস গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সিগারেটের বিষাক্ত পদার্থ ডিমের গুণমানকে প্রভাবিত করে, হরমোনের মাত্রা ব্যাহত করে এবং ফার্টিলিটিতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা প্রয়োজন কারণ অতিরিক্ত ওজন বা কম বডি মাস ইনডেক্স (BMI) গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে BMI প্রজনন ক্ষমতার জন্য সর্বোত্তম। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় নারীরা ওজন কমিয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে পারেন।
ব্যায়াম
গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর আরেকটি উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে, প্রজনন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না। কারণ তা হরমোনের মাত্রা ব্যাহত করে ফার্টিলিটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।