ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ শরবতের উপকরণ এখন প্রায় ‘বিলাসী পণ্য’। বাজারে প্যাকেটজাত যেসব শরবত সামগ্রি পাওয়া যাচ্ছে, তার অধিকাংশের দামই এখন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকেই ইফতারের অন্য সামগ্রী কিনলেও, প্যাকেটজাত এসব পণ্য কিনতে দুইবার ভাবছেন।
এদিকে ভোক্তারা জানিয়েছেন, না কিনলেই নয় এমন হিসেব করেই শরবত তৈরির উপকরণ কিনছেন তারা। বিক্রেতারা বলছেন, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের শরবত তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে। এর ফলে আগের চেয়ে এসব উপকরণ বিক্রি অনেক কমে গেছে।
বাজারে প্রচলিত এসব শরবত সামগ্রিগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্যাং, রুহ আফজা, ফস্টার ক্লার্ক, গ্লুকোজ, ফ্রুট স্যালাইন, ইসবগুল ও দেশি-বিদেশি কোম্পানির ফলের জুস। বিভিন্ন স্বাদযুক্ত শরবতের পাউডার ১-২ কেজি, ৮৪০, ৫০০, ৪৮০ ও ২৭০ গ্রামের কৌটা ও বয়ামে বিক্রি হচ্ছে।
এসব উপকরণের মধ্যে, বিদেশি ব্রান্ডের ফস্টার ক্লার্ক ২ কেজি ওজনের ফ্যামিলি প্যাকের দাম ১ হাজার ৫৬০ টাকা। এছাড়া ৯০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ওজনের মধ্যেও মিলছে শরবত তৈরির এ উপকরণটি। এছাড়া বিদেশি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিউট্রি-সি ও ট্যাং। নিউট্রি-সি ওজন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ট্যাং ওজন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় প্রতিষ্ঠান হামদর্দ ফুড প্রোডাক্টের পানীয় রুহ আফজা ৩০০ মিলি ৩০০ টাকা, ৭৫০ মিলি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক বিক্রেতা জানান দাম গত বছরের তুলনায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মতো বেড়েছে। সেজন্য বিক্রি অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কমে গেছে। অন্য বছর রমজানের আগে যে পরিমাণ বিক্রি হতো এবার তার চেয়ে অনেক কম বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যাদের উচ্চ দামে শরবত উপকরণ কেনার সাধ্য নেই তাদের ভরসা লেবুর পানি। এদিকে লেবুর দামও চড়া। বর্তমানে প্রতি হালি লেবু ৪০-১২০ টাকা। তাছাড়া দেশীয় কোম্পানির শরবতের পাউডারের দামও আগে কম থাকলেও এখন অনেক বেশি।