স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমাতে তিনটি নিয়ম

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে স্নায়বিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব জটিল রোগের প্রতিকার বেশ অর্থবহুল ও জটিল। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, ‘নিউরোলজিক্যাল ডিজ়অর্ডার’-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর পিছনে নানা কারণ রয়েছে। দুর্ঘটনা বা আঘাতজনিত কারণে স্নায়ুর রোগ বাড়ছে, তা ছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, রোগলক্ষণ দেখেও এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাও এর কারণ। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে স্ট্রোকের প্রভাব বেড়েছে। ১৯৯০ সালে যত জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হতেন, এখন সংখ্যাটা তার দ্বিগুণ হয়েছে। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্মৃতিনাশ, অ্যালঝাইমার্স, মৃগীরোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে।

স্নায়ুর রোগ থেকে সাবধান থাকতে তিন নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে—

১) খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতে হবে। ভাল করে সেদ্ধ না করা মাংস, সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত নয় এমন সি-ফুড থেকে মস্তিষ্কে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী জন্মাচ্ছে। দূষিত পানি থেকেও পরজীবীর সংক্রমণ হচ্ছে, যা গিয়ান-ব্যারের মতো রোগের জন্য দায়ী। স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাক্টেরিয়া, টিনিয়া সোলিয়ামের কৃমি থেকে মস্তিষ্কের জটিল রোগও হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে মৃগীরোগের কারণও পরজীবীর সংক্রমণ বলেই জানাচ্ছেন গবেষকেরা।

২) রোগের উপসর্গ দেখেও অবহেলা করা এর অন্যতম কারণ। লাগাতার মাথাব্যথা, বমি ভাব, ঝিমুনি মাইগ্রেন বা স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। আবার যদি লাগাতার মাথাঘোরা বা ভার্টিগোর মতো সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে ‘ভেস্টিবুলার সিনড্রোম’-এর ঝুঁকি বাড়তে পারে। সে কারণে সামান্য লক্ষণও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

৩) নিজে থেকে ওষুধ খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে। ক্লান্তি বোধ করলেই যে কোনও শক্তিবর্ধক ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খেয়ে ফেলা অথবা অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়াও বিপদ ডেকে আনতে পারে। স্নায়ুর যে কোনও সমস্যাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে নিষেধ করছেন গবেষকেরা।

এফপি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্পের কাছ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরিষ্কার অবস্থান জানতে চান জেলেনস্কি Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

সুপার ফোরে যেতে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ Sep 17, 2025
img
রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা Sep 17, 2025
img
নাসুম ও রিশাদরা দারুণ বোলিং করেছে, ওপেনিং জুটি দরকার ছিল: লিটন দাস Sep 17, 2025
img
রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার Sep 17, 2025
img
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব, প্রমাণ ডাকসু : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো টাইগাররা Sep 17, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেত্রী সুইটি গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের Sep 16, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬১ Sep 16, 2025
img
কারাবন্দিদের মধ্যে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু Sep 16, 2025
img
ভর্তি বাতিল গোলাম রাব্বানীর, অবৈধ হচ্ছে ডাকসুর জিএস পদও Sep 16, 2025
img
বিএনপি ছাড়া নারীবান্ধব দল বাংলাদেশে আর একটিও নেই : ফারজানা শারমিন Sep 16, 2025
img
বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েও হতাশ করলেন লিটনরা Sep 16, 2025
img
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে আগুন, ৮ শ্রমিক দগ্ধ Sep 16, 2025
img
তামিমের ছক্কার রেকর্ড, এক বছরে সর্বাধিক ছয় বাংলাদেশের Sep 16, 2025
img
নারীদের ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ : উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
দিল্লিতে বৈঠকে নতুন অধ্যায় খুলছে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের Sep 16, 2025
img
ব্লক মার্কেটে ২১ কোটি টাকা লেনদেন Sep 16, 2025