বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিবিদ্বেষী।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর পল্লবীতে থানা বিএনপির উদ্যোগে ইফতারসামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক সম্মানিত মানুষ আজকের সরকারপ্রধান হয়েছেন। তার কাছ থেকে দেশের মানুষ সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করে। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও কিছু বিএনপিবিদ্বেষী উপদেষ্টা রয়েছেন। বিএনপির কারো নাম, বিএনপি যদি কারো নামে সুপারিশ করে, তাহলে উনারা খুব বিব্রত এবং ঈর্ষান্বিত হন। ঈর্ষান্বিত হয়ে সেটাকে তারা বাইপাস করার চেষ্টা করেন।
রিজভী বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত থাকলে মব সংস্কৃতি তৈরি হতো না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকভাবে কাজ করছে না। এর ফলে ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বিষয়টির দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। সামাজিক অনাচার ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।
তিনি বলেন, অনেকের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান সরকার এসেছে। তাদের মধ্যে স্বৈরাচারের কোনো বৈশিষ্ট্য যাতে না থাকে। নির্বাচিত সংসদ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু এই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্ব করছে।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল শেখ হাসিনা। অবশেষে তাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। হাসিনা মনে করেছিলেন তিনি যতই অন্যায়-অত্যাচার করুক না কেন তার কিছুই হবে না।
নিজের মতো করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাজিয়েছিলেন। তার পাশে আছে ভারত। সেই ভারত তাকে প্রটেকশন দেবে সেই চিন্তা নিয়ে তিনি নিজেকে মনে করেছিলেন অমর। আল্লাহ যে একজন আছেন সেটা তিনি ভাবেননি। তাই শেখ হাসিনা নিজের দেশের মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছেন। মানুষকে দমন করতে গিয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করেছেন নির্বিচারে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতে পারত। চাঁদাবাজি, রাহাজানি, ছিনতাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এসব অনেক কারণেই জিয়াউর রহমান আজও সবার কাছে জনপ্রিয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, খাদ্যশস্য উৎপাদন করাসহ অনেক কাজ করেছেন। মানুষের জন্য ভাল কাজ করতে বেশি সময় লাগে না।
এসএম