এক মসজিদে একাধিক তারাবির জামাত পড়া যাবে?

সাধারণত এক মসজিদে একটি তারাবি জামাত আদায় করা হয়, যা সুন্নত হিসাবে পালন করা হয়। তবে ইসলামী ফেকাহবিদরা পরামর্শ দেন যে, এক মসজিদে একাধিক তারাবি জামাত বা প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আলাদা আলাদা তারাবি পড়া উচিত নয় এবং এ ধরনের ব্যবস্থাকে অনুৎসাহিত করেন।

তাদের মতে, একই মসজিদে তারাবির একাধিক জামাত করা বাঞ্চণীয় নয়। কোন কোন ফকীহ একই মসজিদে তারাবির একাধিক জামাতকে মাকরূহ বলেছেন। হজরত ওমর (রা.) এর যুগে মসজিদগুলোতে ছোট ছোট একাধিক জামাত হত। তিনি এসবগুলোকে একত্রিত করে বড় এক জামাতে পরিণত করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক পৃ. ২৫৯ খ. ৪)

আলেমদের মতে, তাই একই মসজিদে একাধিক জামাত না করে একটি জামাত করাই উচিৎ। কেউ মসজিদের জামাতে শরীক হতে না চাইলে মসজিদের বাইরে বাসা-বাড়ি বা অন্য কোন স্থানে গিয়ে ভিন্ন জামাত করতে পারেন। এতে কোন অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক ৪/২৫৯, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১১৬)

তারাবির নামাজ রমজান মাসের একটি বিশেষ ইবাদত। এ নামাজ নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর সুন্নত। রমজান মাসে তারাবি নামাজের মধ্যে একবার কোরআন খতম করা সুন্নত।

এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত দুই রাকাত করে দশ সালামে বিশ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু তারাবি নামাজ অবশ্যই এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে আদায় করতে হবে।
রমজান মাসে রাসুল (সা.) নিজে তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রমজানে তারাবি নামাজ আদায়কারীর সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেবেন।

এ মর্মে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি : ২০৪৭)

আরও বলেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তার জীবনের আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (মিশকাত, হাদিস : ১৮৬২)


এমআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলার ছয় উপজেলা পানির নিচে Jul 08, 2025
img
৬৪ জেলায় এলইডিতে দেখানো হবে জুলাই বিপ্লবের তথ্যচিত্র Jul 08, 2025
img
গাজায় প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি: জাতিসংঘ Jul 08, 2025
img
ভিন্ন মত দমন নয়, তা প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে : মির্জা ফখরুল Jul 08, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ গেল আরও ১ জনের, শনাক্ত ৮ Jul 08, 2025
img
মঞ্চে গান নয়, গর্ভস্থ শিশুর হৃদয় ছুঁয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল Jul 08, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৮৬ Jul 08, 2025
img
দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেবে সরকার Jul 08, 2025
img
বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই: সাকিব Jul 08, 2025
img
গোলাম দস্তগীর গাজীর কোম্পানির শেয়ার, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ Jul 08, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিন : মুরাদ Jul 08, 2025
img
আবার জুটিতে ত্রিশা–ভেঙ্কটেশ! আসছে ত্রিভিক্রমের নতুন ফ্যামিলি ড্রামা Jul 08, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভালো বন্ধু, আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু হবে : প্রেসসচিব Jul 08, 2025
img
ঢাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান Jul 08, 2025
img
চিরঞ্জিতের দুর্দান্ত রূপান্তর: ধর্মেন্দ্র হয়ে জিতে নিলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার Jul 08, 2025
img
'দ্য গার্লফ্রেন্ড' ছবির শ্যুটিংয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আবেগঘন রাশমিকা Jul 08, 2025
img
ভারতের গোলামী থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি : নাহিদ ইসলাম Jul 08, 2025
img
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত Jul 08, 2025
img
শুবমান গিলকে থামাতে সেরা অস্ত্র হতে পারেন আর্চার : ব্রড Jul 08, 2025
img
সাবেক সচিব, বিচারক ও নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জন সরকারি কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল Jul 08, 2025