চলতি বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ আগামী ২৯ মার্চ ঘটতে চলেছে। এই মহাজাগতিক ঘটনা তখনই ঘটে, যখন চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি এসে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থান নেয়। ফলে সূর্যের কিছু অংশ ঢাকা পড়ে এবং পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ছায়া পড়ে। তবে এটি আংশিক সূর্যগ্রহণ, অর্থাৎ সূর্যের পুরো অংশ ঢেকে যাবে না, শুধু একটি অংশ ঢাকা পড়বে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, গ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২:৫০ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধ্যা ৬:৪৩ মিনিটে। গ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিটে। এই গ্রহণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশ থেকে এটি দৃশ্যমান হবে না।
চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা গেলেও সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা বিপজ্জনক। এটি চোখের রেটিনায় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে, এমনকি অন্ধত্বের কারণও হতে পারে। তাই বিশেষ সুরক্ষা চশমা ব্যবহার করেই এই বিরল দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
২০২৫ সালে মোট দুটি সূর্যগ্রহণ ঘটবে। প্রথমটি ২৯ মার্চ এবং দ্বিতীয়টি ২১ সেপ্টেম্বর। এছাড়া, এ বছর দুটি চন্দ্রগ্রহণও হবে। প্রথমটি ১৪ মার্চ। এটি একটি ‘ব্লাড মুন’ হবে, যার ফলে চাঁদের রঙ লালচে দেখাবে। চাঁদের এই লালচে আভা মূলত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হওয়ার কারণে হয়। তবে এই গ্রহণও বাংলাদেশ থেকে থেকে দেখা যাবে না। বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ হবে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
এই মহাজাগতিক ঘটনাগুলো বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সাধারণ মানুষের জন্যও এক বিরল দৃশ্যের সুযোগ এনে দেয়।
আরএইচ