বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সাংবাদিকদের কাজ কোথায় কী হচ্ছে, কী হতে পারে সেটা খুঁজে বের করা বলে মনে করি। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কে কোথায় অবস্থান করছে, দেশের রাজনীতিতে কোন দলের কী অবস্থান, সেটা সাংবাদিকদের বের করতে হবে। একটি বিশেষ দল সম্পর্কে কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্র লিখছে না। যা লেখার বিএনপির বিরুদ্ধে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে লেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে কোন দলকে উদ্দেশ করে তিনি এ কথা বলেন তা স্পষ্ট করেননি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ওই বিশেষ দলের মাধ্যমে অনেক কিছু ঘটছে, কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) কিছু লিখছেন না। কোনো ব্যবসায়ী কাকে কত টাকা দিচ্ছেন, সেটাও আপনারা লিখছেন না। আপনারা কেন এসব তুলে ধরছেন না? জুলাই আন্দোলনে ৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কোনো দেশ, কোনো জাতি, সাংবাদিকবিহীন আছে বলে আমি মনে করি না। আর যদি না থাকে, সেটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দোসররা অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছে। আগামীতে এই টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ ধ্বংস করার কাজে। এখনো অনেক ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা যেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে নতুন করে কোনো ভুল না করি। ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান সেটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক রেখেই আমাদের চলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার বিকাশে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, এখনো কেনো বাতিল করা হয়নি। সাবেক একজন তথ্যমন্ত্রী হিসেবেও আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এ আইন কার স্বার্থে এখনো বলবৎ রয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘দলের কঠিন দুঃসময়ে সাংবাদিকরা ছিলেন আমাদের অন্যতম ভরসা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জাতি জানতে পেরেছে। আগামীতেও সব সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা বিএনপি পাবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।’
মাহফিলে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব ও দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়ার সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল, সদস্য শাম্মী আক্তার, জাহিদুল ইসলাম রনিসহ দেশে মূলধারা পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/টিএ