আ.লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসনাতের স্ট্যাটাস

বিচারের আগেই আওয়ামী লীগের যে কোনো ধরনের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ‘টেবলেট’ নিয়ে শিগগিরই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চলছে।

বুধবার (১২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে হাসনাত লেখেন, এই নির্বাচনেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে। ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ‘টেবলেট’ নিয়ে শিগগিরই হাজির হবে।

তিনি লেখেন, ‘যারা এই পরিকল্পনা করছেন, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, এখানে কোনো ‘ইফস’ এবং ‘বাটস’ নেই। বিচারের পূর্বে আওয়ামী লীগের যে কোনো ধরনের পুনর্বাসনের চেষ্টার আলাপ দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে। সুতরাং ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগের টেবলেট নিয়ে হাজির হবেন না। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে আর কোনো আলাপ নয়। ফুলস্টপ।’
আ.লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসনাতের স্ট্যাটাস

লাকীকে গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চ
এরআগে এদিন সকালে শাহবাগ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন হাসনাত। সেখানে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিল শাহবাগ। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ। শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।’

হাসনাত লেখেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সব অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই। আমরা আশা রাখি, সবার প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত।’

তিনি লেখেন, ‘পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সব অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র Dec 31, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান ১২তম Dec 31, 2025
img
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ৮.৪ ডিগ্রি Dec 31, 2025
img
ফের জুটি বাঁধছেন শন-সৃজলা! Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় ছারছীনা পীরের দোয়া Dec 31, 2025
img
২য় বিয়ে নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটালেন মালাইকা! Dec 31, 2025
img
আমার কাছে এমপি হওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জনগণের সামগ্রিক স্বার্থ: আসিফ মাহমুদ Dec 31, 2025
img

খালেদা জিয়ার জানাজা

বুধবার যান চলাচল বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়কে Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু Dec 31, 2025
img
বেলা ২টায় খালেদা জিয়ার জানাজা, স্বামীর কবরের পাশে দাফন Dec 31, 2025
img
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ Dec 31, 2025
img
শুটিং বাড়ল ভানসালির 'লাভ অ্যান্ড ওয়ার' সিনেমার, মুক্তি পিছিয়ে ২০২৬-এর শেষে Dec 31, 2025
img
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা Dec 31, 2025
img
সন্তান হারানোর পরও থামেনি সোহিনীর লড়াই Dec 31, 2025
img

খালেদা জিয়ার মৃত্যু

মেক্সিকোর ফ্লাইট বাতিল করে ঢাকার পথে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল Dec 31, 2025
img
খালেদা জিয়া ছিলেন দুঃখের পাষাণে গড়া শুভ্র চন্দনের মতো: আলাল Dec 31, 2025
img

কায়সার কামাল

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নয়, আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন খালেদা জিয়া Dec 31, 2025
img
গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী জিলানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্ত্রীর মনোনয়নপত্র জমা Dec 31, 2025
এভারেস্টে আরোহীপ্রতি ৪ হাজার ডলার ফি প্রস্তাব নেপালের Dec 31, 2025
img
ঢাকা-১১ আসন ছেড়ে দেওয়া জামায়াত প্রার্থীর বাসায় নাহিদ ইসলাম Dec 31, 2025