কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে কার্নির শপথ শুক্রবার

অবশেষে কানাডায় শেষ হতে চলেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানা। আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) উত্তর আমেরিকার এই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মার্ক কার্নি।
দিন-কয়েক আগেই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। এর মাধ্যমে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, শুক্রবার সকালে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মার্ক কার্নি। এর ফলে ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এটিই প্রধানমন্ত্রী পদে জাস্টিন ট্রুডোর শেষ দিন হতে চলেছে।
গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১১ টায় কার্নি এবং তার মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বলে তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। মূলত কানাডার গভর্নর জেনারেল যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিনিধি।

রয়টার্স বলছে, ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নেতৃত্বদানকারী সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার কার্নি গত রোববার কানাডার লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। দলীয় প্রধান হতে মোট চারজন প্রার্থী লড়েছিলেন। সেখান থেকে মার্ক কার্নি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হবেন।

মূলত কানাডার এক অস্থির সময়ে মার্ক কার্নি দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর কানাডা তার দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে এবং এর ভেতরেই শিগগিরই মার্ক কার্নিকে একটি সাধারণ নির্বাচনও আয়োজন করতে হবে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি আগামী এপ্রিল মাসের শেষ দিকে কানাডায় নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বুধবার জানিয়েছে, কার্নির নতুন মন্ত্রিসভা ট্রুডোর নির্বাহীর প্রায় অর্ধেক হতে পারে। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় ১৫ থেকে ২০ জন মন্ত্রী থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন থেকে কম।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রিত্ব ও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার জনপ্রিয়তায় বেশ ভাটা পড়েছে।

এমন সময়ই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় মার্ক কার্নিকে নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেয় ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি। অবসান ঘটল জাস্টিন ট্রুডোর জমানার।

আরএইচ/টিএ

Share this news on: