মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিরিয়ায় প্রবেশ করছে রুশ ডিজেলবাহী ট্যাঙ্কার

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা একটি ট্যাঙ্কার সিরিয়ার বানিয়াস বন্দরের কাছে নোঙর করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাঙ্কারটি সেখানে ডিজেল সরবরাহ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিয়েছিল মস্কো। আর এখন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী রাশিয়া, যাতে তারা সিরিয়ায় থাকা দুটি সামরিক ঘাঁটি ধরে রাখতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ডিজেল সরবরাহ
এলএসইজি-এর তথ্য অনুযায়ী, বার্বাডোস পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার ‘প্রক্সিমা’ প্রায় ৩০,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রিমোর্স্ক বন্দর থেকে যাত্রা করে। বর্তমানে এটি সিরিয়ার বাণিজ্যিক বন্দরের কাছে অপেক্ষমাণ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১০ জানুয়ারি ‘প্রক্সিমা’সহ প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত সপ্তাহে ‘প্রস্পেরিটি’ নামের আরেকটি ট্যাঙ্কার সিরিয়ার উপকূলে পৌঁছেছে, যা ৩৭,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল বহন করছে।

তথ্য গোপন করতে উভয় ট্যাঙ্কারই সিরিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের ট্র্যাকিং ডিভাইস বন্ধ করে দেয় বলে শিপিং তথ্য থেকে জানা গেছে।

রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের নতুন মোড়
সম্প্রতি সিরিয়ায় রাশিয়ায় মুদ্রিত নতুন সিরীয় মুদ্রার চালান পৌঁছেছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরও চালান আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মস্কো ও দামেস্কের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য—সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বকাপে নারী দলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আইসিসির Nov 08, 2025
img
তারেক রহমান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন: ফজলে এলাহী Nov 08, 2025
img
নড়াইলে ছাত্রদলের ৭ ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা Nov 08, 2025
img
ক্যামেরার সামনে আরিয়ানের গম্ভীর থাকার কারন প্রকাশ Nov 08, 2025
img
দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৩য় Nov 08, 2025
img
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আজ মাঠে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া Nov 08, 2025
img
সর্বোচ্চ অবস্থানে মালয়েশিয়া রিঙ্গিত Nov 08, 2025
img
আজ থেকে প্রাথমিকের ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু Nov 08, 2025
img
হানি সিংয়ের গানে মালাইকার পারফর্মেন্সে অশালীনতার অভিযোগ Nov 08, 2025
img
রাজধানীর উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল এক যুবক Nov 08, 2025
img
বাংলাদেশে এসেছেন হলিউড তারকা অরল্যান্ডো ব্লুম Nov 08, 2025
img
ভারত কখনোই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বিভেদ চায় না; ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী Nov 08, 2025
img
বিপিএলে অংশ নিতে না পারার কারণ জানিয়ে দুঃখপ্রকাশ বরিশালের Nov 08, 2025
img
অনুমান নির্ভর প্রচার বন্ধে অনুরোধ করলেন অভিযুক্ত মঞ্জুরুল Nov 08, 2025
img
জুলাই সনদ চ্যাপ্টার ক্লোজ: আমীর খসরু Nov 08, 2025
img
প্রাক্তন শাশুড়ির শেষযাত্রায় প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হৃতিক Nov 08, 2025
img
জীবনের কঠিন সময়ে থেমে ভাবার পরামর্শ শ্রেয়া ঘোষালের Nov 08, 2025
img
প্রয়াত গায়ক জুবিনের স্ত্রী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি Nov 08, 2025
img
মুক্তি পেলো জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার Nov 08, 2025
“ইরান একদিনেই ইসরাইল ধ্বংস করতে সক্ষম” Nov 08, 2025