মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ছেলেকে জড়িয়ে চাঞ্চল্যকর এক পারিবারিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এক মা। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান মামলাটি গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযুক্তরা হলেন-শ্রীনগর উপজেলার কোলা ইউনিয়নের সিংপাড়া গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩০)।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে একই বাড়িতে খাদিজা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করেন। ছেলে তার মা-বাবাকে ভরণপোষণ ও চিকিৎসা বাবদ কোনো খরচ প্রদান করেন না। এ ছাড়া গত ৩ মার্চ স্বামী দিদার হোসেন নিজ সম্পত্তিতে বসবাসকৃত ঘরটি মেরামত করতে গেলে ছেলে আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীর পরামর্শে ঘরের কাঠ, সিমেন্টের খুঁটি ফেলে দেয় এবং কাঠের বেড়া করাত দিয়ে কেটে ফেলে।
এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। পরে তারা জানায়, সম্পত্তি তাদের নামে লিখে না দিয়ে ঘর মেরামত করতে পারবে না। তবে সম্পত্তি লিখে দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা রেগে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কাঠ দিয়ে মাকে মেরে জখম করে।
এ বিষয়ে খাদিজা বেগমের স্বামী দিদার হোসেন গত ৯ মার্চ মুন্সীগঞ্জ আদালতে ভরণপোষণ চেয়ে ছেলে ও ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার জেরে অভিযুক্তরা গত ১২ মার্চ মাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে টানাহেঁচড়া করে চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বাবা-মাকে ভরণপোষণ ও চিকিৎসার খরচ না দিয়ে মারপিট করার অপরাধে মা আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণপূর্বক ছেলে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।
এসএস/এসএন