যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি পুতিন, দিলেন শর্ত

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাশিয়া সম্মত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে। এছাড়া অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার করার প্রয়োজন আছে বলেও জানান পুতিন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর সবচেয়ে বৃহৎ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমরা এই সত্য থেকে এগিয়ে যাব যে এই যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত হবে, যাতে এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে যাওয়া যায় এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর হয়।’

২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ চান তিনি।

গত বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হবে। ইতিমধ্যে ইউক্রেন এতে সমর্থন জানিয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘ধারণাটি নিজেই সঠিক এবং আমরা অবশ্যই এটিকে সমর্থন করি। কিন্তু এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমাদের আলোচনা করা দরকার। আমি মনে করি, আমাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা উচিত।’

পুতিন বলেন, তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সংঘাতের অবসানের ধারণাকে সমর্থন করি।’

এসএম

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চট্টগ্রাম বন্দরের বিদেশি ইজারা বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা Dec 01, 2025
img
নির্বাচিত সরকার যারা চায় না, তারেক রহমান তাদের জন্য বড় বাধা Dec 01, 2025
img
প্রতিবছর রোডক্র্যাশে মৃত্যু ৫ সহস্রাধিক, ৭০ শতাংশের জন্যই দায়ী অতিরিক্ত গতি Dec 01, 2025
img
চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Dec 01, 2025
img
খুলনায় চলছে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ Dec 01, 2025
img
নিজের সুখই সবচেয়ে জরুরি: শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি Dec 01, 2025
img
যাত্রী নিরাপত্তায় মেট্রো ট্র্যাকে ডিএমটিসিএলের নজরদারি Dec 01, 2025
img
বিভিন্ন থানায় পুলিশ টাকা ছাড়া কথা শোনে না : সারজিস Dec 01, 2025
img
আমার সঙ্গী অর্ধ-ভারতীয়, ছেলের নাম শেখর: ইলন মাস্ক Dec 01, 2025
img
নেইমারের ‘অদ্ভুত অভ্যাস’ ফাঁস করলেন সাবেক সতীর্থ Dec 01, 2025
img
পরিচালকের অপমানে কেঁদেছিলেন অভিনেতা অক্ষয় Dec 01, 2025
img
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা Dec 01, 2025
img
ভারতের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা দীর্ঘ করতে পিলখানার হত্যাকাণ্ড ঘটান হাসিনা: রাকিন আহমেদ Dec 01, 2025
img

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক

দুর্নীতি বর্তমানে রোগে পরিণত হয়েছে Dec 01, 2025
img
কঠোর নির্দেশনা মাউশির Dec 01, 2025
img
দুর্দান্ত স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ, আন্দ্রে : শাহরুখ খান Dec 01, 2025
img
আমরা অনেক লাকি, লিটনকে ৭৫ লাখে পেয়েছি: শানিয়ান তানিন Dec 01, 2025
img
গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গড়তে পারবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল Dec 01, 2025
ভারত থেকে স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে Dec 01, 2025
img
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা কমবে, বাড়বে রাতের Dec 01, 2025