কেমন হবে এ বছরের ঈদ ফ্যাশন


প্রতি বছরের মতো ঈদ উল ফিতরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এই বছরের ঈদ ফ্যাশনে বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। উৎসবের আমেজকে মাথায় রেখে প্যাস্টেল ও গাঢ়—দুই ধরনের রঙই রাজত্ব করছে ফ্যাশন দুনিয়ায়।

প্যাস্টেল রঙের মোহনীয়তা
যারা হালকা ও আরামদায়ক রঙ পছন্দ করেন, তাদের জন্য প্যাস্টেল রঙের পোশাক আদর্শ। এই বছর পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার ও মিন্ট গ্রিন বিশেষ জনপ্রিয়। সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা ব্লাশ পিংকের আনারকলি বা লেস-ডিজাইন করা মিন্ট গ্রিন কামিজ সেট পরিধান করলে অনন্য লুক তৈরি হয়। এছাড়া, হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ির চলও বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেখানে ফুলেল নকশা ও মোটিফের ছোঁয়া রয়েছে। সকালে সাদা কাফতানের সৌন্দর্য অনন্য, যা রূপার গয়নার সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।

গাঢ় রঙের গ্ল্যামার
গাঢ় রঙের পোশাক তাদের জন্য, যারা আত্মবিশ্বাস ও শক্তিশালী উপস্থিতি ফুটিয়ে তুলতে চান। গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল মেজেন্টা ও আকর্ষণীয় লাল এই বছর বিশেষভাবে ট্রেন্ডে রয়েছে। জারদৌসি কাজ করা ম্যাজেন্টা কামিজ, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা লাল কাফতান বা সোনালি সুতার ওড়নার সাথে লাল কামিজ সেট একদিকে ঐতিহ্যবাহী, অন্যদিকে আধুনিক। অ্যান্টিক সোনার গয়না, বোল্ড মেকআপ এবং গাঢ় লিপস্টিকের সঙ্গে এই পোশাকগুলো আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

ডিজাইন ও কাটছাঁট
এবারের ঈদ ফ্যাশনে লম্বা হেমলাইন, ভারি ঘের ও সূক্ষ্ম হাতে কাজ করা নকশার ব্যবহার লক্ষণীয়। রেশম ও আরি কাজের সংযোজন যে কোনো পোশাককে উচ্চমাত্রার নান্দনিকতা দেয়। কাফতান, অনারকলি ও শাড়িতেও এই কারুকাজ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

অনুষঙ্গ ও স্টাইলিং
সাজকে পরিপূর্ণ করতে অনুষঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। প্যাস্টেল পোশাকের সঙ্গে মুক্তার গয়না ও ন্যুড টোনের জুতো মানানসই, অন্যদিকে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে মোটা সোনার গয়না, এমব্রয়ডারি করা পটলি ব্যাগ বা ঐতিহ্যবাহী খুসসা জুতা সাজে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।

ব্যক্তিগত স্টাইলের গুরুত্ব
ঈদের ফ্যাশন মূলত ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যের সম্মিলন। কেউ হয়তো সাদা কাফতানের কোমল সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবেন, আবার কেউবা বেছে নেবেন গাঢ় সবুজ আনারকলির বোল্ড লুক। ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাকই সবচেয়ে আকর্ষণীয়, যা একজনকে আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জ্বল করে তোলে।

এফপি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আরও একবার মেসির পায়ের জাদু দেখল ফুটবল বিশ্ব, ৫ জনকে বোকা বানিয়ে জাদুকরী গোল Jul 07, 2025
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি! ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা Jul 07, 2025
img
‘আমি এটা কখনোই করব না’, দুই কোটির প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন সাই পল্লবী Jul 07, 2025
img
এ দেশে থাকবে গণতন্ত্র ও ইনসাফ, এটি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা: নাহিদ ইসলাম Jul 07, 2025
img
দিলীপ কুমারের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রী সাইরার আবেগঘন পোস্ট Jul 07, 2025
img
টলিপাড়ার দেবলীনা-তথাগত জুটি দুজনেই এগোচ্ছেন নতুন সম্পর্কে Jul 07, 2025
img
হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৫০, ১৪৪ ধারা জারি Jul 07, 2025
img
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৫৭ লাখ: ইউএনএফপিএ Jul 07, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ইরানের প্রেসিডেন্টের Jul 07, 2025
img
বিমানে প্রেমিকের সঙ্গে ধরা পড়লেন শ্রদ্ধা, গোপন মুহূর্ত ফাঁস নিয়ে ক্ষুব্ধ রাভিনা Jul 07, 2025
img
জন্মদিনে প্রকাশ পেল ভারতীর জীবনের গোপন অধ্যায় Jul 07, 2025
img
মধ্যরাতে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম Jul 07, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বৈঠক Jul 07, 2025
img
তরুণদের নিয়ে সানেমের জরিপ: নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাবে বিএনপি, এরপর জামায়াত-এনসিপি Jul 07, 2025
img
তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪.৮৬ শতাংশ Jul 07, 2025
img
বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে রাজপথে নেমেছি: নাহিদ Jul 07, 2025
img
সংসদের কাছে সংস্কারের কার্যভারকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই : আখতার হোসেন Jul 07, 2025
img
দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Jul 07, 2025
শাহরুখ-ঋত্বিকের স্বপ্নের চরিত্রে রণবীর! Jul 07, 2025
অনিয়মে গড়া ভবন ভাঙলো রাজউক; স্বপ্নের বাসা নিয়ে একজনের আর্তনাদ! Jul 07, 2025