যখন শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন তা জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব এবং গেঁটেবাতের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু খাবার ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে কিছু ডাল খাওয়া এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিকারক হতে পারে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের কোন ডাল খাওয়া উচিত নয় এবং কেন—
ইউরিক এসিড ও পিউরিনের মধ্যে সম্পর্ক
শরীরে পিউরিনের ভাঙনের মাধ্যমে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। পিউরিন হলো এক ধরণের যৌগ, যা কিছু খাবারে পাওয়া যায়। যখন পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকে, তখন এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
উচ্চ ইউরিক এসিডে ক্ষতিকারক ডাল
মসুর ডাল
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যদিও এটি প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস, তবে যাদের ইউরিক এসিড বেশি তাদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
বিউলি ডাল
অড়হর ডালে উচ্চ পরিমাণে পিউরিন থাকে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের কোন ডাল খাওয়া উচিত নয় এবং কেন—
ইউরিক এসিড ও পিউরিনের মধ্যে সম্পর্ক
শরীরে পিউরিনের ভাঙনের মাধ্যমে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। পিউরিন হলো এক ধরণের যৌগ, যা কিছু খাবারে পাওয়া যায়। যখন পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকে, তখন এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এতে গাউট ও ইউরিক এসিডের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এটি থেকে এড়িয়ে চলা উচিত।
ছোলার ডাল
ছোলা ডালে মাঝারি পরিমাণে পিউরিন থাকে। যদিও এটি পুষ্টিকর, উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া এড়ানো উচিত।
রাজমা
রাজমায় প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে।
এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং জয়েন্টগুলোতে ব্যথা ও ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
ইউরিক এসিডের জন্য নিরাপদ ডাল—
মুগ ডাল: মুগ ডাল হালকা এবং হজম করা সহজ। এতে পিউরিনের পরিমাণ কম, যা উচ্চ ইউরিক এসিডযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি নিরাপদ বিকল্প করে তোলে।
অড়হর ডাল: অড়হর ডাল সীমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে কারণ এতে পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে।
এ ছাড়া এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন—
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: ডালের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারেরও যত্ন নিন। সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানি খান।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শারীরিক কার্যকলাপ ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।