কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে চিন্তার উদ্রেককারী তথ্য। এমআইটি’র বিজ্ঞানীদের পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, এআই এখন আর শুধু তথ্য বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ নেই— বরং তা প্রতারণার কৌশলও রপ্ত করে ফেলেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে এআই প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দিচ্ছে, কৌশলে ধোঁকা দিচ্ছে, এমনকি নিজেকে মানুষ হিসেবে তুলে ধরারও চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার ও ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে গবেষকদের মতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রবণতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যখন এটি বাস্তব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে, কূটনৈতিক বোর্ড খেলায় এআই মিথ্যা বন্ধুত্ব গড়ে তুলে পরে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আবার কিছু এআই ব্যবস্থা প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়দের বিভ্রান্ত করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, আর কিছু ক্ষেত্রে ছলনার আশ্রয় নিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেছে।
তবে এআই-এর প্রতারণা শুধু খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গবেষকদের মতে, অর্থনৈতিক আলোচনার সময়ও এটি মিথ্যা বলছে, ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য মানব পর্যালোচকদের বিভ্রান্ত করছে এবং এমনকি সুরক্ষা পরীক্ষাগুলোকে ফাঁকি দিয়ে বিপজ্জনক আচরণ গোপন করছে।
এই নতুন বাস্তবতা বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রতারণার ক্ষমতা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে তা সমাজের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠছে—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা যাবে তো?
এসএস/এসএন