তৈলাক্ত এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের যত্ন নেওয়া একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। এ ধরনের ত্বকে অতিরিক্ত তেল সৃষ্টি এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতার জন্য বিশেষ মনোযোগ এবং যত্ন প্রয়োজন। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার একটি কার্যকর উপায় হলো ত্বকের যত্নের রুটিনে ফেসিয়াল অন্তর্ভুক্ত করা।
ফেসিয়াল কেবল গভীরভাবে ত্বক পরিষ্কারই করে না, বরং নির্দিষ্ট ত্বকের সমস্যাগুলোকেও বশে আনতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয়, যার ফলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত তেল এবং ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এ ধরনের ত্বকের যত্নে এমন ফেসিয়াল নির্বাচন করা প্রয়োজন যা তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। পাশাপাশি ত্বকের বন্ধ হওয়া ছিদ্র খুলে দিতে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন ফেসিয়াল বেছে নিন এমন ত্বকে।
1. তৈলাক্ত এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকর ডিপ ক্লিনজিং ফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালে ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা অপসারণ করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।
2. পিউরিফাইং ফেসিয়াল করতে পারেন। ত্বককে ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি প্রদাহ কমানোর জন্য এই ধরনের ফেসিয়াল বেশ কার্যকর।
3. যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য একনে কনট্রোল ফেসিয়াল হতে পারে উপকারী। এই ফেসিয়ালে সাধারণত ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করার জন্য ডিপ ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েশন এবং এক্সট্রাকশন অন্তর্ভুক্ত থাকে।
4. ব্রণ প্রবণ ত্বকের প্রদাহ একটি সাধারণ সমস্যা। একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ফেসিয়াল ত্বককে প্রশমিত এবং শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে এবং লালভাব কমাতে পারে।
5. হালকা ও তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম ব্যবহারের মাধ্যমে হাইড্রেটিং ফেসিয়াল করা হয়। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ভারসাম্য বজায় রাখতে, অতিরিক্ত শুষ্কতা রোধ করতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে সহায়তা করে।
6. মুলতানি মাটির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের বাড়তি তেল দূর হবে।
আরএ/এসএন