রোজায় ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার ফলে ক্লান্তি, পানিশূন্যতা এবং মনোযোগের অভাব হতে পারে, যার সবকটিই প্রোডাক্টিভিটি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আপনার কিছু অভ্যাস রোজায়ও আপনাকে সুস্থ থাকতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে-
১. স্বাস্থ্যকর এবং সুষম সেহরি খাবার খান
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম সেহরি খাবার খাওয়া অপরিহার্য। কারণ এটি সারাদিন শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং চিনি ও চর্বি কম থাকে এমন খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য এবং ক্লান্তি প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফল, শাক-সবজি এবং প্রোটিনসহ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. হাইড্রেটেড থাকুন
ইফতারের পর প্রচুর পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ পানিশূন্যতা ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। পানিশূন্যতা এড়াতে চব্বিশ ঘণ্টায় কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা অপরিহার্য।
৩. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
কফি এবং চায়ের মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘুমের ধরনেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রোজার সময় এই পানীয়গুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. ইফতারের সময় ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে খান
অতিরিক্ত খাওয়া এবং হজমের সমস্যা এড়াতে ইফতারের সময় ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে খাওয়ার অভ্যাস করুন। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে আরও ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতেও সাহায্য করে।
৫. ইফতারের সময় ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
ইফতারের সময় ভারী খাবার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনাকে ক্লান্ত করতে পারে। ইফতারের সময় হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। ফল, শাক-সবজি এবং প্রোটিন খেলে তা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে পারে।
৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
রমজানে নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে ফিট থাকতে এবং শক্তির মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করবে। তবে পানিশূন্যতা এবং ক্লান্তি এড়াতে রোজা ছাড়া সময় ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এফপি/এস এন