তরমুজের বীজেরও আছে উপকার, কিভাবে খাবেন

তরমুজের রূপ, রস, গন্ধ কিংবা পুষ্টিগুণ এককথায় অনন্য। লাল অংশ তো সবাই খান। কিন্তু এর বীজ? সেটা সাধারণত আমরা ফেলে দিই। বিশেষ করে তরমুজ খাওয়ার বীজ মুখে পড়লে আমরা একটু বিরক্ত হই।

কিন্তু আপনি কি জানেন, সেই বীজের কত গুণ? এতেই কিন্তু আছ ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনসহ নানা উপকারী উপাদান। এই বীজ ভেজে খেলেও পুষ্টিগুণ পাবেন ষোলো আনা। এ ছাড়া আর কী গুণ আছে তরমুজের বীজে, জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।

ম্যাগনেসিয়াম
তরমুজের বীজে পাবেন বেশ কিছু খনিজ পদার্থ।এর মধ্যে একটি ম্যাগনেসিয়াম। ৪ গ্রাম বীজে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের দৈনিক যে চাহিদা, তার ৫ শতাংশ পূরণ করে এই বীজ।যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ) প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৪২০ মিলিগ্রাম খনিজ পদার্থ গ্রহণের পরামর্শ দেয়।
স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হৃৎপিণ্ড ও হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম।

আয়রন
একমুঠো তরমুজের বীজে প্রায় ০.২৯ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১.৬ শতাংশ পূরণ করে। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে মাত্র ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এটি আপনার শরীরের ক্যালরিকে শক্তিতে রূপান্তর করতেও সাহায্য করে।
তবে তরমুজের বীজে ফাইটেট থাকে, যা আয়রনের শোষণ এবং এর পুষ্টিগুণ কমাতে সাহায্য করে।

জিংক
তরমুজের বীজ জিংকের চেয়েও ভালো। এক আউন্স তরমুজের বীজ দৈনিক চাহিদার প্রায় ২৬ শতাংশ অথবা একমুঠোতে (৪ গ্রাম) দৈনিক চাহিদার ৪ শতাংশ পূরণ হবে।
জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া শরীরের পাচনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র, কোষের পুনরুত্থান ও বিভাজন, স্বাদ ও গন্ধের ইন্দ্রিয় ভালো রাখার মতো কাজে জিংক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।

তরমুজের বীজ কিভাবে খাবেন
তরমুজ খাওয়ার সময়েও বীজ বা বিচি খাওয়া হয়ে যায় অনেক সময়। তবে বীজগুলো অঙ্কুরিত করে খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। এ ছাড়া ভেজে অথবা সূর্যের আলোতে শুকিয়েও খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা খাওয়ার তুলনায় এভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

এফপি/টিএ

Share this news on: