২৬ রমজান দিবাগত রাত তথা ২৭ রমজান রাতে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে কোরআন ও হাদিসে এই রাতকে সুনির্দিষ্টভাবে কদরের রাত বলা হয়নি। হাদিসে কদরের রাত বিষয়ে মোট ছয় ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। এসব বর্ণনার মধ্যে সমন্বয় করে শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) ২৭ রমজান রাতকে কদরের রাত হওয়ার মত প্রাধান্য দিয়েছেন।
যারা ২৭ রমজানের মতকে প্রাধান্য দেন তাদের মূল দলিল এই হাদিস, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে নামাজ আদায় করবে সে কদরের রাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনু কাব বললেন, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই সে মহান আল্লাহর কসম! নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। এ কথা বলতে তিনি কসম করলেন, কিন্তু ইনশা-আল্লাহ বললেন না (অর্থাৎ তিনি নিশ্চিতভাবেই বুঝলেন যে রমজান মাসের মধ্যেই ‘লাইলাতুল কদর’ আছে)।
এরপর তিনি (সা.) আবার বললেন, আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তা-ও আমি জানি।সেটি হলো এ রাত, যে রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। ২৭ রমজান তারিখের সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ওই রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো—সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে, তা উজ্জ্বল হবে, কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোনো তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৭০)
কদরের রাতবিষয়ক অন্যান্য বর্ণনা হচ্ছে—
১. রমজানের শেষ দশকে (বুখারি, হাদিস : ২০২০),
২. রমজানের শেষ সপ্তাহে (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৫),
৩. রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে (বুখারি, হাদিস : ২০১৭),
৪. ২৩ রোজার রাত তথা ২২ রমজানের দিবাগত রাত (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৮), ৫. ২৫, ২৭
ও ২৯ রোজার রাত (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৫)।
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা আবশ্যক।
এমআর/এসএন