যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য না করলে এক সপ্তাহও টিকবে না ইসরায়েল : ইরানের স্পিকার

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সাহায্য না করত, তবে ইহুদিবাদী শাসন এক সপ্তাহও টিকত না বলে হুঁশিয়ারি দি য়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ-বাকের কালিবাফ।

আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) কুদস দিবসে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে। যদি ফিলিস্তিন এবং প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার মুখোমুখি হত, তবে নিশ্চিত থাকুন যে এই শাসনব্যবস্থা এক সপ্তাহও টিকতে পারত না।

তিনি বলেন, মানবতাকে নিপীড়ন করেই আধিপত্যবাদী ব্যবস্থা টিকে আছে এবং ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা হলো আমেরিকার অপরাধী হত্যাযন্ত্র।
কালিবাফ আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল এবং দুষ্ট শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছিল। অন্যান্য সরকারও অবশ্যই ইসরায়েলকে সমর্থন করেছিল, যার মধ্যে ব্রিটেন রয়েছে।

ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মার্কিন হুমকির কথা উল্লেখ করেন এবং সেই হুমকি পূরণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, যদি তারা ইরানকে হুমকি দেয়, তাহলে 'গানপাউডারের মতো' এই অঞ্চলে আমেরিকার মিত্ররা এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলো অনিরাপদ হয়ে উঠবে।

কালিবাফ ইরানকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেন, এতে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো যুক্তিসঙ্গত কথা বলা হয়নি। চিঠিতে আমেরিকার মনোভাব ধমক দেওয়ার মতো। কিন্তু আপনি ইরানি জাতিকে ধমক দিতে বা প্রতারণা করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, চাপ এবং হুমকির মধ্যে আলোচনার অর্থ হবে অন্য পক্ষের দাবির কাছে নতি স্বীকার করা, 'যা হবে যুদ্ধের সূচনা, যা কোনও জাতি মেনে নেবে না।'

১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন দূতের মাধ্যমে ট্রাম্প ইরানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। গত বুধবার ওমানের মাধ্যমে ট্রাম্পের চিঠির জবাব জানিয়েছে তেহরান।

ইরান জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তেহরানের ওপর 'সর্বোচ্চ চাপ' এবং সামরিক হুমকি থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি আলোচনা হবে না।

 আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়: ড. রেদোয়ান আহমেদ May 30, 2025
img
নিম্নচাপের প্রভাবে ৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, ব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা May 30, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তানের আল-ফালাহ ব্যাংক May 30, 2025
img
চোরদের ধরেছি তো, তাই আমাকে সরাতে উঠে-পড়ে লেগেছে: ফারুক আহমেদ May 30, 2025
img
‘ড্রাগন’ ছবিতে নায়িকা নয়, ভিন্ন রূপে চমক দেখাবেন রাশ্মিকা May 30, 2025
img
আমরা এটাকে হুমকি হিসেবে না দেখে সুযোগ হিসেবে দেখছি: প্রধান উপদেষ্টা May 30, 2025
img
দিনাজপুরে সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক May 30, 2025
img
অজয়ের গল্প বলার শক্তি, অক্ষয়ের রিমেক ফাঁদ May 30, 2025
img
বিদ্যা বালান বনাম রম্যা কৃষ্ণন: ‘জেলর ২’-এ কে হবেন মূল নারী চরিত্র? May 30, 2025
img
বিএনপি সম্পর্কে বদনাম করছেন, একটু লজ্জাও লাগলো না? : মির্জা আব্বাস May 30, 2025
img
দ্বিতীয় ইনিংসের অপেক্ষায় পূজা হেগড়ে, নজর এখন বলিউডে May 30, 2025
img
আলাদা হয়েছে পথ, তবে কি সত্যিই যশের পিছনে গোয়েন্দা লাগিয়েছিলেন নুসরাত? May 30, 2025
img
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপান অতিরিক্ত ৪.২ মিলিয়ন ডলার বৃত্তি সহায়তা দেবে May 30, 2025
img
না ফেরার দেশে কেনিয়ান সাহিত্যিক গুগি ওয়া থিয়ঙো May 30, 2025
img
শিশুদের সুরক্ষায় ফ্রান্সের নতুন ধূমপান নিষেধাজ্ঞা May 30, 2025
img
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে জাপান-বাংলাদেশ চুক্তি May 30, 2025
বাংলাদেশ দল নিয়ে যা বললেন রমিজ রাজা May 30, 2025
আন্দোলনে জনগণের সঙ্গে ছিলাম : জিএম কাদের May 30, 2025
img
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩৯০ জন May 30, 2025
img
দেব হয়তো জিনসের তলায় তিনটা প‌্যান্ট পরে কাঁপছে, আর আমি স্কার্ট পরেও হাসছি : কোয়েল May 30, 2025