নাটোরের গুরুদাসপুরে আরফান মিয়া নামের এক চাষির পুকুর থেকে অন্তত ২৮ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। মাছ লুটের ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় এক নেতাসহ আরও কয়েকজনকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী চাষি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর বিলের একটি পুকুর থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।
লুটের খবর পেয়ে শনিবার ভোরে মাছভর্তি একটি পিকআপ এবং লুটের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মটোরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আরফান। লিখিত অভিযোগে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভম্বু ও আব্দুল হান্নানসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
আরাফান মিয়া জানান, ১২ বিঘা জলকরের ওই পুকুরটিতে তিনি রুই-কাতলাসহ ১২ প্রজাতির প্রায় ৬৫ লাখ টাকার মাছ চাষ করেছিলেন। শনিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে মাছ লুটের খবর পান তিনি। পরে জানতে পারেন ৭টি পিকআপে করে প্রায় ২৮ লাখ টাকার মাছ লুট করা হয়েছে। এসময় তিনি পুলিশে খবর দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক, স্থানীয় ভম্বু ও আব্দুল হান্নান দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে তাকে হয়রানি করে আসছিলেন। তারাই মাছ লুট করেন।
ওই পুকুরের নৈশ্যপ্রহরী আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে একদল লোক আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করেন। তারপর ভোর ৪টা পর্যন্ত মাছ লুট করে পিকআপ করে নিয়ে যায়। এসময় পুকুরে স্থাপন করা সিসিটিভি ও হার্ডডিস্ক ভাঙচুর করা হয়।
তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাছ লুটের ঘটনায় আমি জড়িত নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সাওয়ার হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, পুকুর থেকে মাছ লুটের খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি মাছভর্তি পিকআপ ভ্যান ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এসএম/এসএন