গত ৫ আগস্টের পর ক্ষমতার রদবদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসতে পারেনি তৎকালীন প্রভাবশালী অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা। অনেকের বিরুদ্ধে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা সহ নানা অভিযোগে কয়েকজনের বেতন বন্ধ করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সামনে বেতন বন্ধ হতে পারে জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও শিক্ষক-কর্মকর্তার।
সূত্রমতে জানা যায়, বর্তমানে জবির সাবেক প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালসহ ৫ জনের বেতন বন্ধ রয়েছে। বাকিরা হলেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দার, জবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাজী মনির ও অর্থ দপ্তরের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দীন মোল্লা কাদের।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, বিভাগীয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিনিয়র অধ্যাপক-ডিনদের বিরুদ্ধে অসদাচারণসহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এজন্য তার বেতন অর্ধেক বন্ধ রয়েছে।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গত বছরের মার্চে সাময়িক বরখাস্ত হন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম। এজন্য তার বেতন অর্ধেক বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে একই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে গত বছরের ২৪ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এজন্য তার বেতন অর্ধেক বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত চলমান থাকায় ৪ বছর ধরে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোচনা শোভার বেতন বন্ধ আছে। একই বিভাগের আরেক সহকারী অধ্যাপক শামীম আরা পিয়া বিদেশে গিয়ে শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখনো ফিরে না আসায় গত নভেম্বর থেকে তার বেতন সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে তিনি ফের শিক্ষা ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন। তার আবেদন অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে এসে অফিস না করেও বেতন নেয়ার অভিযোগে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিনাত জেরিন সুলতানার বেতন পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
বেতন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত তিনজন কর্মকর্তা ও দুজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ আছে। কয়েকজনকে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী বিষয়ে বলা যাবে।
জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন, কয়েকজনের বেতন বন্ধ আছে। আর কারও যদি বেতন বন্ধ হয় সেটা প্রশাসনিকভাবে হবে। কয়েকজনকে নিয়ে তদন্ত হচ্ছে এবিষয়ে অবগত আছি।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এ তালিকায় আরও নাম আসবে। বিষয়টি প্রসেসিংয়ে আছে। একটা তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
এফপি/এস এন