জামালপুরে সরকারি একটি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছেন আপেল মাহমুদ নামের বিএনপির এক নেতা। শনিবার (২৯ মার্চ) ভোরে ফুলবাড়িয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় প্রাঙ্গণের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যান তিনি।
অভিযুক্ত এস এম আপেল মাহমুদ জামালপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
পাউবো কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার ভোরে আপেল মাহমুদ জেলেসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে পাউবোর পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুকুর পাড়ে গিয়ে তাকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই নেতা তাদের বিভিন্নভাবে শাসান। পরে পাউবোর কর্মকর্তারা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ওই নেতা মাছ ধরে নিয়ে যান।
জামালপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আশরাফ জানান, খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখেন মাছ ধরা শেষ। জাল ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন ভ্যান থেকে তারা জাল নামান। পরে পাউবোর কয়েকজন কর্মকর্তার সম্মতিতে জাল ফেরত দেওয়া হয়। পাউবোর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাউবোর জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, তিন মাস আগে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল। মাছ তেমন একটা বড়ও হয়নি। হঠাৎ সকালে অফিস থেকে জানানো হয়, আপেল নামের ওই ব্যক্তি পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরছেন। পরে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু এর আগেই তারা মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। তখন পুকুর পাড়ে ওই নেতা ও তার লোকজন ছিলেন। তিনি (আপেল) শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকিও দেন। পরে বিষয়টি বিএনপির কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছি আমরা।
এ বিষয়ে এস এম আপেল মাহমুদ বলেন, ‘ওই জায়গায় আমি মাছ ছাড়ছি। সরকারি পুকুরে আমি মাছ অবমুক্ত করছি। সেখান থেকে ধরে নিয়ে এসেছি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, দলের দু-একজন নেতাকর্মীর অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না। অপকর্মের দায় তাকেই বহন করতে হবে। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএম/এসএন