সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে যান গৃহবধূ মনিরা খাতুন। স্বামী সেটি দেখে ফেলেন। পরে বকাবকিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ। এ খবরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক শাহ আলমও (২২)।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যায় বুধহাটা বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে যান মনিরা খাতুন ও তার প্রেমিক শাহ আলম।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার উত্তর চাপড়া গ্রামের আল-আমিন সানার স্ত্রী মনিরা খাতুন একই গ্রামের শাহজাহান গাজীর ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। বিষয়টি আল-আমিনকে জানান তার মা। কিন্তু আল-আমিন তাতে কর্ণপাত করতেন না। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিরা খাতুন তার প্রেমিক শাহ আলমের সঙ্গে বুধহাটা বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে যায়। রাতে বাড়িতে ফিরে আসার পর স্বামী ও শাশুড়ি কেনাকাটা করতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
একপর্যায়ে রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সবার অজান্তে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেন মনিরা খাতুন।
এদিকে, এ খবর শুনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক শাহ আলম। বিষয়টি তার বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
গৃহবধূ মনিরার স্বামী আল-আমিন জানান, আমার স্ত্রীর সঙ্গে শাহ আলমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। তারা দুজন একসঙ্গে বুধহাটা থেকে ঈদের কাপড়-চোপড় কিনে বাড়ি ফেরে। এ সময় শাহ আলমের সঙ্গে কেনাকাটা করতে যাওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করাকে কেন্দ্র করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নোমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।