রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ

রাজবাড়ীতে সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘর থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামে স্বামীর বাড়ির ঘরের খাটের ওপর সালমার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।

সালমা বেগম হাউলি জয়পুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আজাদ মল্লিকের স্ত্রী। তার সাদিক (৭) ও সিনহা (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

সালমার শাশুড়ি লতা বেগম বলেন, “ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সালমা দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। অন্য ঘরে আমি ও আমার ছোট ছেলে রাহাত ঘুমাই, আরেক কক্ষে আমার বড় ছেলে আমজাদ ও তার স্ত্রী মিম ঘুমায়। সকাল ৬টার দিকে আমি ঘুম থেকে উঠে সালমার ঘরের সামনে গিয়ে নাতি সাদিককে ডাক দেই। এ সময় সাদিক ঘরের ভেতর থেকে কান্না করে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলে। তখন দেখি ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি, সালমা খাটের ওপর চিৎ হয়ে শোয়া, শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা আর গলায় ওড়না শক্ত করে প্যাঁচানো। দুই পাশে তার দুই সন্তান বসে আছে।"

তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলে ঈদের আগে সৌদি আরব থেকে এক লাখ টাকার উপরে পাঠিয়েছে। সালমাকে হত্যা করে ঘর থেকে টাকা ও সালমার নাকের নাকফুল নিয়ে গেছে।”

সালমার সাত বছর বয়সি ছেলে সাদিক জানায়, "রাতে আমাদের ঘরে হিমায়েত এসেছিল। তার সঙ্গে মুখোশ পরা আরও দুইজন ছিল। তারা আমার আম্মুকে মেরেছে।" হিমায়েত সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদিক বলে, "আমরা যখন ঢাকায় থাকতাম, তখন হিমায়েত আমাদের আঙ্কেল ছিলেন।"

তবে সালমার শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির কেউ হিমায়েত নামে কাউকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন। তারা ধারণা করছেন, ঢাকায় থাকাকালীন সালমার হিমায়েতের সঙ্গে পরিচয় হতে পারে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, “সালমা বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”

আরএ/এসএন

Share this news on: