ফাইবার হল একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা উদ্ভিদজাত খাবারে পাওয়া যায়। এটি শরীরে হজম হয় না, তবে বৃহদন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে গাঁজন হয়। যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন।কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর মতো নানা স্বাস্থ্য উপকারে আসে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক
ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে ফাইবারের কার্যকারিতা আরো বাড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করাও প্রয়োজনীয়।
হজমশক্তি উন্নত করে
ফাইবার বৃহদন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ওটস ও বার্লিতে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার পেটে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে।যার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
ফাইবার রক্তে গ্লুকোজ শোষণের হার ধীর করে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমায়।
ফাইবারের প্রধান উৎস: শস্যদানা (ওটস, বার্লি), ফল (আপেল, নাশপাতি), শাকসবজি (ব্রকলি, গাজর), বাদাম ও বীজ।
এমআর/এসএন