পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষে হাতিরঝিলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলার প্রথম দিনের কার্যক্রম ও পরদিন (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে তিনি হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য ও বাঙালি জাতির প্রাণের এই উৎসবকে রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বছর নানা আয়োজন করেছে রাজউক।
পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রেইনথিওরি নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজউকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী এই চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উৎসব। রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রোববার সন্ধ্যায় মেলাপ্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং এই আয়োজনকে উৎসবমুখর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বর্ষবরণের এই উৎসব আয়োজনে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটার এলাকায় থাকছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও নানাবিধ জিনিসের বিভিন্ন স্টল, শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য কিডস জোনসহ বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক রাইড, যার মধ্যে রয়েছে নাগরদোলা, মেরি গো রাউন্ড, লম্ফ জম্ফ ইত্যাদি। এ ছাড়াও থাকছে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সকলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলা পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং রাইডসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। মেলায় আগতদের সঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান কথা বলেন। হাতিরঝিল এলাকায় এ ধরনের আয়োজনে দর্শনার্থীরা তাদের আনন্দের কথা এবং মেলা ভ্রমণকালে তাদের সুবিধা-অসুবিধাসমূহ তাকে অবহিত করেন।
এ সময় মেলাপ্রাঙ্গণে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য আবর্জনা নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ছাড়াও মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও প্রস্তুত আছি। আনন্দ খুশির মধ্য দিয়ে আমরা বৈশাখের উৎসব পালন করবো। রাজধানীবাসী যেন নিশ্চিন্তে আনন্দঘন পরিবেশে এই উৎসব পালন করতে পারে, তার জন্য রাজউক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এ বছর আমরা ঢাকাবাসীর কাছে অন্যরকম একটি আয়োজন পৌঁছে দেব।
রাজউক চেয়ারম্যান সোমবার বিকেল ৪টায় বৈশাখী মেলায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
মেলা পরিদর্শনকালে মেলাপ্রাঙ্গণে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফরিদ প্রমুখ।
আরএ