নিজেকে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একের পর এক নারীর বিশ্বাস অর্জন করতেন সাগর। সেই বিশ্বাসে ভর করে কেউ ভিডিও কলে, কেউবা সরাসরি তার সামনে নিজেকে উন্মোচন করতেন। আর সুযোগ বুঝেই সাগর শুরু করতেন ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই ধরা পড়েছেন র্যাবের হাতে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দারিয়াল হাজরাদিঘী গ্রামে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২১ বছর বয়সী শিহাব হোসেন সাগরকে আটক করা হয়।
সাগর বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি দাড়িয়াল এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে।
সাগরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস। যার মধ্যে রয়েছে ২টি স্মার্টফোন, ২টি বাটন ফোন, ৩টি সিম, মেমোরি কার্ড, একটি সিপিইউ, হার্ড ডিক্স, এসএসডি কার্ড, রামদা, চাপাতি, ছোড়া এবং বার্মিজ চাকুসহ আরও কিছু অস্ত্র।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সাগর মূলত নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ‘র্যাব পরিচয়ে’। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করিয়ে তুলে নিতেন ভিডিও। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ব্ল্যাকমেইল করতেন।
আটকের পর শিহাব হোসেন সাগরকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন, সাইবার অপরাধ এবং সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংসকারী এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সাগরের মতো প্রতারকরা আইনের ফাঁক গলে বের হতে পারবে না।
আরএ