ঝিনাইদহে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের উত্তর নারায়ণপুরে ত্রিমোহনী মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এসময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্থানীয় বাদপুকুর গ্রামের মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলীকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলী সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুর গ্রামের মৃত কেনু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আসাদুল ইসলামের কাছে যান মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলী। ওই সময় আসাদুল ইসলাম, তার বাবা আশকর আলী মিলে দোকানি মোহাম্মদ আলীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে মোহাম্মদ আলী ডাক-চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এসময় স্থানীয়রা এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান দোকানি মোহাম্মদ আলী।
এদিকে ঘটনার পরে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সদর থানা থানা পুলিশ হত্যা মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজনরা। তারা জানিয়েছেন, দুপুর থেকে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ নানান অজুহাত দেখিয়ে মামলা নিচ্ছে না।
যে কারণে নিহতের স্বজনরা রাতেই মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
নিহতের ছেলে মশিয়ার রহমান বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা যেন মামলা না করি, তার জন্য নানা রকম চাপ দিচ্ছে। থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের স্বজনরা বিক্ষোভ কেন করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলা না নেওয়ার কিছু নেই। পুলিশ অবশ্যই মামলা নেবে।